২৬ মার্চ কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ মাঠে নামা। তারপর কেটে গেছে ৪ মাসের বেশি সময়। আরও প্রায় দু’মাস পর ইংল্যান্ডের সাথে হোম সিরিজ। ক্যাল্ডোরের পাতা উল্টে হিসেব কষলে প্রায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে মাশরাফি ও মুশফিকের দল। এত দিন বাদে মাঠে ফিরে মাশরাফি, তামিম, মুশফিক ও সাকিবরা কি ঠিক ঠিক নিজেদের খুঁজে পাবেন? তাদের জ্বলে উঠতে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তাপ, মেজাজ ও গতি-প্রকৃতির সাথে তাল মেলাতে কি কোন সমস্যা হবে না? কারো কারো মনে এমন প্রশ্ন উঁকি-ঝুকি দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ইংলিশ ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল তা মনে করেন না। তিনি এই দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকাটাকে উল্টো বাড়তি সুবিধা হিসেবেই দেখতে চান। রোববার দুপুরে বিসিবি লাউঞ্জে এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হয়ে হ্যালসল বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকায় আদৌ কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না? তা নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। তবে আমি এটাকে সুবিধা হিসেবেই দেখতে চাই।’কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হ্যালসল বলেন, ‘আমরা এখনো সিরিজের আগে পুরো দুই মাস সময় পাচ্ছি। এ সময় নিজেদের ইচ্ছেমত তৈরির যথেষ্ঠ সময়। আমরা যেভাবে চাইবো, সেভাবেই পস্তুতি নেয়া সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, দীর্ঘ সময় বিরতিতে ছেলেরা অনেক ফ্রেশ থাকবে। তাদের ভাল খেলার ক্ষুধা, তাগিদ ও ইচ্ছেটাও হবে প্রবল। সর্বোপরি আমরাও যথার্থ প্রস্তুতি নিতে পারবো। বোলারদের কেমন পরিশ্রম করাবো, ব্যাটসম্যানরা কেমন ধরনের বোলারদের মুখোমুখি হবে? সে প্র্যাকটিসটাও করা যাবে।’ তার শেষ কথা, নেতিবাচক ভাবে দেখলে লড়াই করা যাবে না। বরং বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ মনে করেন, বেশি খেলার কারণে ইংলিশরা খানিক ফ্যাকাশে থাকতে পারে। তাদের ক্লান্তি ও অবসাদ গ্রাস করতে পারে। তার সন্দেহ আছে ইংলিশরা বাংলাদেশের সেরা দল নিয়ে আসতে পারবে কি না? তার ধারনা, বেশি খেলার কারণে ইংলিশরা ক্লান্ত ও অবসন্ন থাকবে। ‘আমাদের সাথে খেলার আগে তিন মাসে তারা সাত সাতটি টেস্ট খেলবে। ২০ সেপ্টেম্বর তাদের একদিনের খেলা শেষ হবে। তারা (ইংলিশরা) কি তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে আসতে পারবে? মনে রাখতে হবে আমাদের সাথে পুরো সিরিজ (দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টি) খেলে যাবার পর ভারতের সাথে আবার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে।’ হ্যালসলের বিশ্বাস, এ কারণেই হয়তো ইংল্যান্ড সম্পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে আসতে চাইবে না। এটাতেই ইতিবাচক দিক দেখছেন তিনি। ‘আমাদের দল যে ছয় মাস খেলার বাইরে আছে, এটাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ভাবেই দেখা যেতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস আমাদের ক্রিকেটাররা প্রথম ওয়ানডের আগে তৈরি হয়ে যাবে।’এআরবি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement