মাস পেরোতেই শুরু হবে বাঙালির প্রাণের মেলা, অমর একুশে বইমেলা। এ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগেই। এ মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশকরা। আয়োজক বাংলা একাডেমীও এ জাতীয় উৎসবকে সামনে রেখে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।বছরের এই একটি মাসে সারাদেশের বই প্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ। আর তাই পাঠক লেখক প্রকাশক সকলেই সারাবছর অপেক্ষা করেন ফেব্রুয়ারির জন্য।আগামী মাসের প্রথম দিন থেকেই বইমেলা। তাই বিরাম নেই ছাপাখানায়। আর বইয়ের কারিগরেরা এখন ব্যস্ত বই বাঁধাই আর মলাট তৈরিতে। বইয়ের পাড়া বাংলাবাজারে গেলে দেখা যায় এমন দৃশ্য। প্রকাশকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন লেখকের কাছ থেকে স্ক্রিপ্ট বুঝে নিয়ে পছন্দসই ভাবে সেটা ছাপাতে।সাহস পাবলিকেশন নাজমুল হুদা রতন বলেন, বই মেলা উপলক্ষে আমাদের সকল কাজ ইত্যেমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি মেলার প্রথম দিন থেকেই সব বই স্টলে থাকবে।সময় প্রকাশন`র ফরিদ আহমেদ বলেন, অধিকাংশ না হলেও অন্তত অর্ধেক বই প্রেস থেকে বাঁধাইখানায় চলে এসেছে। বাঁধাই চলছে আর কিছু বই ছাপা চলছে, কিছু বই এখনও ডিজাইন-এর কাজ চলছে। এটা আসলে চলতেই থাকবে, ফেব্রুয়ারির কাজের শেষ নেই।এদিকে কর্মব্যস্ততা রয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীতেও। লেখক পাঠকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবার মেলার পরিসর বাড়বে।বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন,বই মেলা বাংলা একাডেমী অংশেও যেমন হবে তেমনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও গতবছরের মতো সম্প্রসারিত হবে। গত বছরে আমাদের স্টল ছিল ৬/৮ ইঞ্চি, এবার সেটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। তিরিশ বছর পর এই আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমী।বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, প্রথম চারদিন সাহিত্য সম্মেলন হবে। কথা সাহিত্য, কবিতা এবং নাটক এই তিনটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি আমাদের দেশের শতাধিক লেখক এবং ১০ থেকে ১২ টি দেশের ১৪ থেকে ১৬ জন অতিথি এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবেন।আরু
Advertisement