হজ ও ওমরা জিয়ারাতকারীগণ ইহরামের পূর্বের হাত-পায়ের নখ, গোঁফ, নাভির নিচের ও বগলের লোম পরিষ্কার করবেন। অতপর গোসল করে ইহরামের কাপড় পরিধান করবেন। যারা হজ করবেন তারা হজের নিয়ত করবেন আর যারা ওমরা করবেন তাঁরা ওমরা পালনের নিয়ত করবেন। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমলসমূহ নিয়তের ওপরই নির্ভরশীল। প্রত্যেক মানুষ যে উদ্দেশ্য সামনে রেখে নিয়ত করে, সে তাই পায়।হজ ও ওমরা এ দুই ইবাদাতের যে কোনোটির জন্যই আদায়কারী নিয়ত করবে। এ নিয়ত মৌখিক উচ্চারণে করা শরিয়ত সম্মত। এখানে ওমরা ও হজের নিয়ত তুলে ধরা হলো-যারা ওমরা করবেন, তাদের নিয়ত-لَبَّيِكْ عُمْرَةً - اَللَّهُمَّ لَبَّيِكْ عُمْرَةًউচ্চারণ : ‘লাব্বাইক উমরাতান’ অথবা ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক উমরাতান’যারা হজ করবেন, তাদের নিয়ত-لَبَّيِكْ حَجًّ - اَللَّهُمَّ لَبَّيِكْ حَجًّউচ্চারণ : ‘লাব্বাইক হাজ্জান’ অথবা ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক হাজ্জান’রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরূপেই নিয়ত করেছেন। যারা হজ বা ওমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে বের হবেন, তাঁরা গাড়ি বা বিমান বা অন্য যে কোনো বাহনেই থাকেন; ইহরামের পর বাহনে আরোহনের সময়ই উল্লিখিত নিয়তের শব্দ সমূহ মুখে উচ্চারণ করা উত্তম।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরার ইবাদাতে নিয়ত উচ্চারণ করে সুন্নাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/ এইচআর/পিআর
Advertisement