কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। অনেক বিশেষণেই তিনি ভূষিত। তবে সর্বাধিক ব্যবহৃত বিশেষণটি হল ‘বাংলা সংগীতের যুবরাজ’ তিনি। অডিও শিল্পে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রথম অ্যালবাম থেকেই। স্বাভাবিকভাবেই অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছে তার। সেইসব ভক্ত আসিফকে বরাবরই ভালোবেসেছেন, তার গানকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। তবে সবার থেকে আলাদা মো. ফরিদ খান। পেশায় তিনি একজন চা দোকানি। তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি রাস্তার ফুটপাতে ছোট একটি চায়ের টং দোকান তার। এর নাম ‘চাঁদপুর বাংলা স্টোর’।ফরিদ খানকে যারা চেনেন বা তার দোকানে যারা চা খেতে যান, তারা সবাই তাকে কণ্ঠশিল্পী আসিফ ভক্ত হিসেবে জানেন। কোটি কোটি ভক্তের বাজারে তাকে সবার থেকে আলাদা বলার কারণ হলো এই আসিফ ভক্তেরও আবার ভক্ত আছে অনেক! একটু অবাক লাগছে তো! সত্যি অবাক করার মতো ব্যাপার। আরো মজার ব্যাপার হলো ফরিদের ভক্তরা তাকে উপাধি দিয়েছেন ‘নাম্বার ওয়ান ফ্যান অব আসিফ আকবর’।তিনি তার মোবাইল ফোন থেকে কণ্ঠশিল্পী আসিফের প্রতিটি ফেসবুক পোস্টে লাইকসহ কমেন্ট দিয়ে দোকানে আসা ক্রেতাদের আসিফের গান শোনানোর পেছনেই দিনের দীর্ঘ সময় ব্যয় করেন।সম্প্রতি ভিন্নধর্মী ইউটিউভ চ্যানেল ‘চ্যানেল এসডি’র পক্ষ থেকে তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তা প্রকাশ করা হয়। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত আসিফ ভক্ত তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাকে বলা যায় এখন অনলাইন সেলিব্রেটিও। আসিফকে ভালোবেসেই তার এই খ্যাতি। তবে ফরিদ বলেন, ‘কোনো আলোচনা বা খ্যাতির জন্য নয়, আসিফ আকবরকে আমি ভালোবাসি তার গানের জন্যই। তার গান ছাড়া আমার সকাল হয় না, রাতও ফুরায় না।’তিনি আরো বলেন, “সেই ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ গানটি শোনার পর থেকেই আসিফ ভাইয়ের প্রতি আমি দুর্বল হয়ে যাই। এমন সুর, গাওয়ার স্টাইল আমাদের দেশে আর কোনো শিল্পীর নেই। আর আসিফ ভাই খুব ভালো মানুষ। উনার সঙ্গে আমার দেখাও হয়েছে। এটি আমার জীবনের সেরা একটি মুহূর্ত। শিল্পীদের সবার বিপদে আপদে তিনি এগিয়ে আসেন; এটা আমার খুব ভালো লাগে।’এখানে ফরিদের কিছু ভিডিও দেয়া হলো। সেগুলো দেখলেই বোঝা যাবে কেন ফরিদ খানকে নাম্বার ওয়ান ফ্যান অব আসিফ আকবর বলা হয়। এক নাম্বার ভিডিও : দুই নাম্বার ভিডিও : এলএ/এইচআর/আরআইপি
Advertisement