হজ শারীরিক ও আর্থিক ইবাদাত। যা সামর্থবানদের জন্য জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। কোনো মুসলমান যখন হজ বা ওমরা যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর উচিত স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং সঙ্গী-সাথীগণকে নসিহত, অসিয়ত ও তাওবার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা। যা তুলে ধরা হলো-নসিহতহজ ও ওমরা পালনে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পূর্বেই পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে তাকওয়া অবলম্বন তথা আল্লাহর ভয়ের ব্যাপারে উপদেশ দেয়া। আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তাঁর নিষিদ্ধ কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার জন্য এ নসিহত প্রদান করা জরুরি।অসিয়তহজ বা ওমরায় গমনকারীর উচিত, কোনো কারণে কারো সঙ্গে যদি তাঁর দেনা-পাওনা থাকে, যা তাৎক্ষনিক পরিশোধ করার কোনো সুযোগ না থাকে; সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্পদের ওয়ারিশগণকে ডেকে বা লিখিতভাবে তা জানিয়ে দেয়া এবং এ ঋণ বা অসিয়তের ব্যাপারে সাক্ষী রাখা অত্যন্ত জরুরি কাজ। এ অসিয়ত হজে গমনের পূর্বেই সম্পন্ন করা।তাওবাহজ বা ওমরার যাত্রীর জন্য আবশ্যক কাজ হলো সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে পরিপূর্ণ তাওবা করা। জীবনের ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়-অপরাধের কথা স্মরণ করে, জীবনে আর কোনো অন্যায় না করার নিয়ত করে, আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ তাওবা করা একান্ত জরুরি।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর; সম্ভবত তোমরা কামিয়াব হবে। (সুরা নুর : আয়াত ৩১)বিশেষ করে হজ ও ওমরা পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি নিজে তাওবা করবে এবং তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং সঙ্গী-সাথীদেরকেও তাওবার উপদেশ দিবে।আল্লাহ তাআলা হজ ও ওমরা পালনে ইচ্ছুকদেরকে এ কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement