রাজনীতি

আন্দোলন থামাতে সরকারের টার্গেট ৭ দিন

বিএনপি নের্তৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে প্রকাশ্যে পাত্তা না দিলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। এ লক্ষ্যে সরকারের উচ্চা মহলে থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল শুরু থেকেই। ফলে রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়ন করেছিল সরকার।তবে সর্বশেষ সহিংসতা প্রতিহত করতে রাজপথে সেনাবাহিনীকে নামানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজবাড়িতে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের অখন্ডতা রক্ষায় যে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছেন। একটি সূত্র জানায়, রাজধানীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার কারণে অবরোধ সমর্থনকারীরা রাজপথে সক্রিয় হতে না পারলেও দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে সরকার পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এজন্য গত ৪ জানুয়ারি থেকে দুরপাল্লার যান চলাচল স্বল্প পরিসরে রাজধানীতে থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।আরেকটি সূত্র জানা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় পরিবহন মালিকেরা তাদের চেয়ারকোচ সার্ভিস বন্ধ রেখেছেন। তবে মাঝে মাঝে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় কয়েকটি গাড়ি চলাচল অব্যহত রেখেছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীকেও রাজপথে নামানোর চিন্তা করছে সরকার।খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অবরোধ ও হরতালের নামে বিএনপি এই সহিংসতা খুব শিগগিরই বন্ধ হবে। কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সাত বা দশ দিনের মধ্যেই দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।চলমান এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।সরকার দলীয় সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াত ইসলামী যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এটাকে মোকাবেলা করতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকার যখনই কঠোর হয়েছে তখনই তারা আত্মগোপনে চলে গেছে।খুব দ্রুতই চলমান এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশের রাজনীতিতে বইছে নতুন হাওয়া। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রায় এক বছর নিরব থাকা ২০ দলীয় জোট ক্ষমতার নেশায় মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি বিকালে গুলশানে অবরুদ্ধ থেকেই অনিদির্ষ্টকালের অবরোধে ডাক দেন।তার এই ঘোষণার পর থেকেই দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজপথে অবরোধের মধ্যে গাড়ি আগুন দেওয়া হচ্ছে, মহাসড়কগুলো বন্ধ রাখার চেষ্টা করছে অবরোধ সমর্থনকারীরা। এই সংকট সমাধানে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।এমএম/আরএস

Advertisement