হরতাল, অবরোধের নামে কেউ সন্ত্রাস ও নাশকতা করলে তা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক। শুক্রবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, নাশকতা, সন্ত্রাস, গুম, হত্যা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করছেন তারা এ দেশের কেউ না। আমরা কথা বললেই বলে আমরা রাজনীতির কথা বলি, কিন্তু আমি তো টেক্সট দেই, এদেশের ভালোমন্দে একটা তো মতামত থাকবে।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার প্রশ্ন আজকে যারা হরতাল করছেন অবরোধ করছেন, মানুষ মারছেন, কি কারণে? গনতান্ত্রিক দেশ জনগণের। দেশ-এর মালিক জনগণ। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে জনগণের ভোটে।সংবিধানের কোথাও যদি হরতাল এবং অবরোধ করা মৌলিক অধিকার লেখা পাওয়া যায় তাহলে তিনি স্যারেন্ডার করবেন বলেও উল্লেখ করেন।বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ এর আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, প্রমুখ। শেষে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দরা।র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, অবরোধের এই কয়েক দিনে মিঠাপুকুরে পাঁচজনসহ সারা দেশে ২৪ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ২০১৩ সালের মতো আবারও একটি গোষ্ঠী শান্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যারা এগুলো করছে, তারা চায় না মানুষ দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচুক। এই গণশত্রুদের সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করা দরকার।উল্লেখ্য, রংপুরের মিঠাপুকুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের জায়গীর বাতাসন ফতেপুর এলাকায় পেট্রোল বোমা হামলায় বাসে থাকা শিশুসহ চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তরিছর নেতা (৫০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটানায় মিঠাপুকুর থানায় জামায়াত-শিবিরের ৮৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও শতাধিক জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আরএস
Advertisement