ব্যস্ততায় ভরপুর এই জীবনে নিজের জন্য সময় বের করা মাঝেমাঝে খুব দুষ্কর হয়ে পড়ে। কখনো কখনো নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগার ব্যাপারগুলোকেও জলাঞ্জলি দিতে হয়। এতে করে যা হয় তা হচ্ছে জীবনের প্রতি একঘেয়েমি একটা ব্যাপার কাজ করে। দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তবে আপনার করা ছোট ছোট কিছু কাজে জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনে জীবনে আনতে পারেন নতুন মোড়। চলুন জেনে নেই সেই ছোট ছোট কাজগুলো সম্পর্কে। যে সব জিনিসের প্রতি আপনি কৃতজ্ঞ তাদের একটি তালিকা তৈরি করুন-* আপনার একটি হাসিখুশি পরিবার রয়েছে, যাদের সাথে আপনি মনের কথা অবলীলায় ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। তাদের সাথে ভাগাভাগি করা সেই হাসিখুশির মুহূর্তের কথা ডায়েরিতে লিখে রাখুন।* আপনার প্রিয় সন্তানদের সম্পর্কে লিখুন। যারা আপনার জীবনে আশির্বাদস্বরূপ।* নিজের কাজ নিয়ে পরিকল্পনা করুন, এবং তা লিখে রাখুন।* আপনার বস যদি বন্ধুসুলভ হয় তবে তার সম্পর্কেও লিখুন।* আপনার জীবনসঙ্গীর সম্পর্কে লিখুন।আপনার জীবনসঙ্গীর ভালোলাগার দিকগুলো নিয়ে লিখুন-* সারাদিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানোর ব্যাপারটাই ভিন্ন রকম। তাই তার সাথে কাটানো ভালোলাগার সময়গুলোকে ডায়েরিবন্দি করে রাখুন।* আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে কতটা ভালোবাসেন তা নিয়ে লিখুন। আপনার না বলা কথাগুলো সে কীভাবে বুঝে নেয় তা লিখে রাখুন।* সে নিজে নিজে স্বাবলম্বী, তার এই কাজগুলো আপনাকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করে তা লিখে রাখুন।* আপনি তাকে পেয়ে কতটা ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী তা নিয়ে ভাবুন। এতে আপনি কারো জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে পারবেন। এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে। * তাকে আপনি কতটা সম্মান দিচ্ছেন এবং সে দিচ্ছে তা লিখে রাখুন।আপনাকে নিয়ে কারা ভাবে তাদের একটি তালিকা তৈরি করুন-আপনি যখন জানতে পারবেন আপনি কারো জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সেই সময় থেকে আপনার নিজের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসা শুরু করবে। যদি এই তালিকায় আপনি শুধু একজনকে পান তবে ভাববেন আপনি খুবই ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। কারণ আপনি নির্দিষ্ট কোনো একজনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে আপনাকে নিয়ে সারাদিন ভাবে। এইচএন/এইচআর/এবিএস
Advertisement