প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে ঈদ জামাতের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এবারও থাকছে শোলাকিয়া স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস। আর এ বছর জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।কিশোরগঞ্জের প্রায় আড়াইশো বছরের পুরোনো শোলাকিয়া মাঠে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ১৮৭তম ঈদের জামাত। এ মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতও হয়। এর মধ্যেই এ ঈদগাহ ময়দানের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মাঠে বালু ফেলা, দেয়ালে রং করাসহ শেষ হয়েছে মাঠের সংস্কার কাজ।গত বছরের মতো এবারো এ ময়দানে দেশ-বিদেশ থেকে আশা মুসুল্লিদের ঢল নামবে অনেকেই মনে করছেন।এদিকে, এ ময়দানের ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়দান ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ।কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘আশা করছি যে সম্পূর্ন নিরাপদভাবেই মুসল্লিরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পাবেন।’কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম আলম বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নির্ভিনে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।’জনশ্রুতি রয়েছে, কোনো এক ঈদের জামাতে এ মাঠে সোয়া লাখ মুসুল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করে, সেই থেকে এর নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। বর্তমানে যা শোলাকিয়া নামেই পরিচিত। ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য ৭ একর জমি ওয়াকফ করেন ঈশাখাঁর বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান।
Advertisement