বান্দার সঙ্গে আল্লাহর প্রেমের সর্বোচ্চ সেতুবন্ধন হলো হজ। যাদের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ রয়েছে হজ তাদের জন্য ফরজ ইবাদাত। এ ফরজ ইবাদত পালনের উদ্দেশ্যে হাজিদের সর্বপ্রথম কাজ হলো ইহরাম বাঁধা। ইহরাম বাধার পরই এই তালবিয়া তিনবার পাঠ করতে হয়।হজে গমনেচ্ছুদের সুবিধার্তে বাংলায় উচ্চারণ ও অর্থসহ তালবিয়া তুলে ধরা হলো-i) لَبَّيْكَ ا للّهُمَّ لَبَّيْكَii) لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَiii) اِنَّ الْحَمدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَiv) لاَ شَرِيْكَ لَكَতালবিয়ার উচ্চারণ-১. লাব্বাইক আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক,২. লাব্বাইক, লা-শারি-কা লাকা লাব্বাইক,৩. ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি`মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক,৪. লা শারি-কা লাক।"তালবিয়ার অর্থ : ১. আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত!২. আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই।৩. নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।৪. আপনার কোন অংশীদার নেই।তালবিয়া পড়ার নিয়ম-হজ ও ওমরা পালনকারীগণ মিকাতে (যেখানে ইহরাম বাঁধতে হয়) পৌঁছে অথবা তার পূর্ব হতে গোসল বা ওজু করে (পুরুষগণ ইহরামের কাপড় পরে) ২ রাকাআত নামায পড়ে কেবলামুখী হয়ে হজ বা উমরার নিয়ত করবে। নিয়ত শেষে অন্তত ৩ বার (পুরুষগণ সশব্দে) ৪ শ্বাসে তালবিয়াহ পাঠ করবে। নিয়ত ও তালবিয়ার দ্বারা ইহরাম বাঁধার কাজ সম্পন্ন করার পর বেশি বেশি তালবিয়াহ পড়তে থাকা। এ তালবিয়া তাওয়াফের স্থানে (বাইতুল্লা/কাবা) প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত পড়বে।লক্ষ্যণীয়-বাংলাদেশ থেকে যারা সরাসরি পবিত্র নগরী মক্কায় যাবেন; তাঁরা বাংলাদেশ থেকেই ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হবেন। তাদের জন্য ইহরাম পরবর্তী সময় তিনবার তালবিয়া পাঠ করতে হয়। আর যারা মদিনায় যাবেন; তাঁরা ইহরাম বাঁধবেন মদিনায় যাওয়ার পর; তার আগে নয়। আবার কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ইহরাম না বেঁধে মক্কায় যান; তবে সেখানে যেয়েও ইহরাম বাঁধা যাবে।আল্লাহ তাআলা সব হাজিদেরকে বেশি বেশি তালবিয়া পাঠ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এএ/এবিএস
Advertisement