সিটিসেলকে শেষ রক্ষা করতে মাঠে নেমেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। এ পর্যন্ত অর্ধডজন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে সিটিসেলে নতুন বিনিয়োগ আনতে। সর্বশেষ সিটিসেলকে সক্রিয় রাখতে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের একটি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মোরশেদ খান।মিয়ানমারের ওই অপারেটরটি গত জানুয়ারিতে সিটিসেল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং ব্যবসা শুরু করতে ঢাকায় অফিসও নিয়েছিল। কিন্তু সিটিসেলের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত আগ্রহ না থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরে যেতে হয়। অবশেষে এম মোরশেদ খান নিজ থেকেই সেই অপারেটরটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে সিটিসেল বন্ধ না করার জন্য মঙ্গরবার বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। তারা শিগগিরই বকেয়া টাকার কিছু অংশ বিটিআরসির কাছে জমা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।বৈঠক-পরবর্তী সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্বগুলো পরিশোধিত হবে এবং সরকারও সিটিসেলের কারণে নতুন বিনিয়োগ পাবে।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে ভিয়েতনামের মোবাইল ফোন অপারেটর মোবিফোন আর্থিক সংকটে থাকা সিটিসেল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল। বিদেশি কোম্পানিটির কর্মকর্তারা বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করতে ও অপারেটরটির তৎকালীন অবস্থা দেখতে ঢাকায় এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।এর আগে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর ভিয়েতটেল বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু সেটাও আলোর মুখ দেখেনি।এদিকে সিটিসেলের মালিকানা বদলের জন্য ২০১৫ সালে কার্লোস স্লিমের মালিকানাধীন দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিষ্ঠান আমেরিকা মোভিলের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করেছিল সিটিসেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় মেক্সিকো সিটির প্লাজা কারসোতে সরাসরি বৈঠকও হয় কয়েকবার। কিন্তু তারা সব কিছু বিবেচনা করে সিটিসেলের প্রস্তাবনা ফিরিয়ে দেয়।আরএম/বিএ
Advertisement