খেলাধুলা

লি টাকের একমাত্র গোলে আবাহনীর জয়

ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাকের একমাত্র গোলে বিপিএলে দ্বিতীয় জয় পেলো ঢাকা আবাহনী। এক ড্র, দুই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জজ কোটানের শীষ্যরা। তবে গোলের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রামের দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই পরিকল্পিত আক্রমণের মধ্যদিয়ে খেলতে থাকে শিরোপাপ্রত্যাশী ঢাকা আবাহনী। এরপরও প্রথম গোলটি পেতে তাদেরকে ৩২ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।এর আগে গোলে মরিয়া আবাহনীর স্ট্রাইকাররা বারবার ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ছোটছোট পাসে দু’দিক থেকে আবাহনীর আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকতে হয় টিম বিজেএমসির ডিফেন্ডারদের। অবশ্য ফাঁকে বিজেএমসি একটি গোলের সুযোগও পেয়ে যায়।২৫ মিনিটে দলের ফরোয়ার্ড জুলফিকারের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে সোহেল রানা দ্রুতগতিতে বক্সে ঢুকেও শট করতে পারেননি। ৩৩ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে ফরোয়ার্ড লি এন্ড্রু টাকের ডান পায়ের দর্শনীয় ফ্রি কিকটি আবাহনীকে এক গোলের লিড এনে দেয়।এরপর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আরো একটি গোলে এগিয়ে যেতো পারতো আবাহনী। ডানপ্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার জুয়েল রানার মাইনাস থেকে ছোটবক্সে বলটি লাফিয়ে উঠলে ফরোয়ার্ড সানডে চিবোজা গোললাইনের সামনে থেকে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য বজায় রাখে আবাহনী। ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণ চালায় বিজেএমসি। বেশির ভাগ সময় বল আবাহনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা মিডফিল্ডে সীমাবদ্ধ ছিল। দুই দলই প্রতিপক্ষের শিবিরে তেমন জোরালো আক্রমণ চালাতে পারেনি। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে বাজে রেফারিংয়ের কারণে খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারির দর্শকদের মাঝেও। খেলার ৮১ মিনিটে টিম বিজেএমসির মিডফিল্ডার মোখলেসুর রহমান মুকুল আবাহনীর ব্রিটিশ ফরোয়ার্ড লি টাকের বল নিয়ন্ত্রণে আনার সময় পেছন থেকে পা ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেই মাটিতে পড়ে যান। এ সময় রেফারি জালাল উদ্দিন বাঁশি বাজান ঠিকই কিন্তু তা উল্টো এন্ড্রু টাকের বিরুদ্ধে।রেফারি ফাউলের সঙ্গে হলুদ কার্ডও দেখান টাককে। টাক সঙ্গে সঙ্গেই রেফারির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে। আবাহনীর খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরে রেফারিকে।এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারির দর্শকদের মাঝেও। পরে পুলিশ গিয়ে দর্শকদের শান্ত করেন। এই ঘটনায় প্রায় দুই মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত ৫ মিনিটেও ১০ জনের আবাহনী ও টিম বিজেএমসির কেউ গোল করতে না পারলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবাহনীর কোচ জজ কোটান বলেন, ‘লি টাক তো ফাউল করেইনি, ফাউলের মতো ঘটনাও ঘটেনি। সেই জায়গায় হলুদ কার্ড দেখানোটা রেফারির ভুল ছিল। এরপর ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার লাল কার্ড দেয়াটা আরো মারাত্মক ঘটনার জন্ম দিলেন রেফারি।’তিনি বলেন, ‘এসব বাজে রেফারিংয়ে ম্যাচের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।’জীবন মুছা/বিএ

Advertisement