টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর সবসময়ই স্পিন নির্ভর ছিল বাংলাদেশ। অনেক ম্যাচেই মাত্র একজন পেসার নিয়ে খেলেছে টাইগাররা; কিন্তু গত এক বছরে হঠাৎ করেই যেন হাওয়াটা বদলে গেছে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় এখন চারজন পেসারদের নিয়ে খেলে টাইগাররা। এর প্রধান কারণ হিসেবে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন পেসার আল-আমিন হোসেন।২০১৪ সালের শেষ দিকে পুনরায় বাংলাদেশ দলের রঙ্গিন জার্সির অধিনায়কের দায়িত্ব পান মাশরাফি। এরপরের গল্পটা যেন রুপকথার মত। তার নেতৃত্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা দলটিকে এখন পর্যন্ত কোন সিরিজ হারতে হয়নি। একজন পেসার হবার কারণে ভালো করেই জানেন পেসারদের কষ্টগুলো। তাই দলের সকল পেসারদের বাড়তি অনুপ্রেরণা দেন তিনি। তাদের চাহিদায় এখন বাংলাদেশেও হয় স্পোর্টিং উইকেট।মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলে পেসারদের উন্নতির কারণ জানিয়ে আল-আমিন বলেন, ‘দলের পরিকল্পনা এবং কোন পরিবেশ পরিস্থিতিতে খেলা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই পেস বোলাররা এখন বেশি সুযোগ পাচ্ছে। এ কারণেই তারা পারফর্ম করছে। মাশরাফি ভাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার কাছ থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, কিভাবে ভালো করা যায়।’দলে পেসারদের এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি আল-আমিন। দলের সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় দলে টিকে থাকতে এর কোন বিকল্প নেই বলে জানান এই পেসার।‘এখন যে যখন সুযোগ পাবে সে তখন তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি যখন সুযোগ পাচ্ছি তখন সেরাটাই দিচ্ছি। মোস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল বা মাশরাফি ভাই যে পাচ্ছে, সে তার সেরাটাই দিচ্ছে। তো যদি টিকে থাকতে হয়, আমাকে সেরাটাই দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় এটা পেসারদের একটা ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ।’দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ দলের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই কোন খেলা নেই। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ঝরে পড়ে আল-আমিনের কণ্ঠে। নিয়মিত মাঠে খেলা না থাকলে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন বলে মনে করেন তিনি।‘আমাদের বড় দুঃখ যে গত বিশ্বকাপের পর আমাদের কোন খেলা নাই, অন্য সব দল খেলছে। পেস বোলার বলেন কিংবা বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বলেন, গত ছয় সাত মাস ধরে খেলা না থাকায় আমি সন্দিহান যে যেভাবে চলছিলাম সেভাবে চলতে পারবো কি না।’আরটি/আইএইচএস/এমএস
Advertisement