দেশজুড়ে

যমুনার পানি কমলেও, বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের পানি

যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে যমুনার পানি কমলেও বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি। এখনও পানিবন্দী রয়েছে জামালপুরের সাত উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষ। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি থাকার পর গত কয়েকদিন ধরে পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করায় নতুন করে বেশ কিছু গ্রাম বন্যা প্লাবিত হয়েছে।পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে এখনও প্রবাহিত হওয়ায় জামালপুর সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। বসতঘর থেকে এখনো বন্যার পানি নেমে না যাওয়ায় গবাদী পশু নিয়ে বিভিন্ন বাঁধ এবং উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়ে আছে বন্যা দুর্গতরা। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০টি ফ্লাট সেন্টারে ২ হাজার ২৮২টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সঙ্কট চলছে। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো জেলার ৭৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ১৮ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমির ফসল। এদিকে সোমবার বিকেল থেকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, জামালপুর-সরিষাবাড়ী-বঙ্গবন্ধু পূর্বপাড় পর্যন্ত লাইনে রেল যোগাযোগ এখনও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও জামালপুর-মাদারগঞ্জ এবং জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার মে.টন চাল, ৫ হাজার ৬৬৭ প্যাকেট শুকনো খাবার, জিআর নগদ  ৪১ লাখ টাকা, ৫০ হাজার আটার রুটি-গুড় বিতরণ করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করা হলেও দুর্গত এলাকায় এখনো ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার।এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাদারগঞ্জের গুনারীতলা ইউনিয়নের বাকুরচর এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ফেরার পথে বন্যার পানিতে ডুবে সিরাজ মন্ডল (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।   শুভ্র মেহেদী/এমএএস/এবিএস

Advertisement