বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ‘অবৈধ দখলদার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।মওদুদ আহমদের গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়ি দখল সংক্রান্ত মামলায় রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। মওদুদের ভাইয়ের নামে নামজারি করতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, সে আদেশের বিরুদ্ধে রাজউকের আপিল মঞ্জুর করে আজ সকালে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ের পর এখন ওই বাড়িতে মওদুদ আহমদের থাকাকে ‘অবৈধ দখল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ রায়ের আলোকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে রাজউক ও সরকার। মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মামলায় মৌলিক ত্রুটির কারণে এর কার্যক্রম বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।অপরদিকে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, এমনিতেই বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে। মামলা মোকদ্দমা করা হচ্ছে। আমার এই বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় সরকার সাত বছর বিলম্বের পর আপিল করে। আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি আজ এ কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, সাধারণত এতো বিলম্ব সুপ্রিম কোর্ট মার্জনা করেন না। তারপরও আদালত মার্জনা করেছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিল বলেই সরকার সাত বছর বিলম্বের পর আপিল করেছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি রিভিউ (পুনঃবিবেচনা) করবো।মওদুদ আহমদ বলেন, এটি ক্রয় করা বাড়ি, সরকারের নয়। ১৯৮০ সালে বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে দলিল করে বাড়িটি ক্রয় করা হয়েছে। তারপর ওই বাড়িতে সরকারের কোনো অধিকার নেই। এই বাড়ি নিয়ে একটি মামলায় নিম্ন আদালত আমাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়। হাইকোর্ট ওই রায় বাতিল করে আমাদের পক্ষে রায় দেন।তিনি বলেন, আমি যদি বিরোধী দলে না থাকতাম তাহলে সরকার এত আগ্রাসী হতো না। রাজনীতি করি বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল অস্ট্রিয়া গেছেন মামলার তথ্য সংগ্রহ করতে। তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এখন আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপির অপেক্ষায় রয়েছি। পেলে রিভিউ করা হবে।রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আপিল করে। ওই আপিল শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার হাইকোর্ট রায় বাতিলের আদেশ দেন।এফএইচ/এমএমজেড/এবিএস
Advertisement