বিশেষ প্রতিবেদন

ঝাপসাভাবে বাবাকে দেখলো ছোট্ট লামিহা

কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষে ঝাপসাভাবে বাবাকে দেখেছে। নিজের মতো কথা বলেছে তবে অন্যান্য বন্দী ও স্বজনদের ভিড়ে তার বাবা কিছুই শুনতে পাননি। তাই যাওয়ার বেলায় বাবাকে শেষবারের মতো হাত দেখাচ্ছে ছোট্ট মেয়ে লামিহা। কারাগারের বাইরে থেকে ভেতরের দৃশ্যমান কর্ণফুলী সেলের দিকে হাত দেখিয়ে ‘বাবা বাবা’ ডাকছিল। চিত্রটি কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের। লামিহা তার চাচা এবং মায়ের সঙ্গে বাবাকে দেখতে এসেছে। বাবার নাম লতিফুর রহমান। একটি মামলার আসামি হিসেবে গত ছয় মাস যাবত কারাগারে বন্দি তিনি। বর্তমানে কর্ণফুলী-৬ সেলে রয়েছেন। কারাগারের লতিফুর রহমানকে দেখতে আসা স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে দুবার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। মেয়েটা বাড়িতে সারাদিন বাবা বাবা করে। তাই ওর বাবার সঙ্গে দেখা করতে এখানে এনেছিলাম। কিন্তু সাক্ষাৎকার কক্ষে ভিড়ের কারণে বাবার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারেনি সে। শুধু মুখটা দেখেছে।’ দেখলাম কারাগারের বাইরে থেকে তার বাবার সেলের জানালা দেখা যায়। বাড়ি ফেরার সময় সেখান থেকে আমাদের ডাকছিল। তার ডাকেই মেয়ে বার বার হাত দেখাচ্ছিল। চার বছরের ছোট্ট লামিহাদের বাড়ি পুরান ঢাকার শ্যামবাজার। এর আগে ২৯ জুলাই শুক্রবার একদিনে সব বন্দিকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত এই কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। স্থানান্তরের পর আজ সোমবার প্রথমবারের মতো বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন স্বজনরা। তবে প্রথম দিন কারাগারে ছিল স্বজনদের উপচেপড়া ভিড়। নবনির্মিত এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ হলেও বর্তমানে মোট ৬ হাজার ৪০০ বন্দি রয়েছে। তবে নতুন এই কারাগারে বন্দিদের দেখা করার জায়গা অনেক ছোট। বর্তমানে বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য একটি দোতলা ভবন রয়েছে। যাতে মাত্র ৪০ জন করে আসামি সোমবার তার পরিবারের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে সাক্ষাৎ করেছে। এআর/এসএইচএস/এবিএস

Advertisement