বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার পর কয়েক ধাপে নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পেসার তাসকিন আহেমদ। তবে রোববার প্রথম বিসিবির আধুনিক প্রযুক্তি অনুযায়ী বোলিং করলেন তিনি। এরপরই আগের চেয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী তাসকিন। দেশের ভেতরে এতো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে দারুণ মুগ্ধ এ ফাস্ট বোলার।রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে বোলিং করেন তাসকিন। এর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে যে, আমাদের দেশেও এখন এত উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা হয়েছে। আমি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনেক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন আমার সঙ্গে। তাদের মত ও আমার আত্মবিশ্বাস মিলিয়ে অনেক খুশি লাগছে এখন। শেষবার যখন তারা দেখেছিলেন, বলেছিলেন যে অনেক উন্নতি হয়েছে। আজকের ভিডিও দেখার পর যদি আরও উন্নতি হয়েছে মনে করেন, তাহলে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।’দেশে ফিরে নিয়মিত অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেন তাসকিন। পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের অধীনে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তবে স্ট্রিক চলে যাওয়ার পর বিসিবির বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ মাহবুব আলী জাকির অধীনে কাজ করছেন তিনি। আইসিসির আগের পরীক্ষায় তার বোলিংয়ে বড় কোন সমস্যা না পাওয়ায় খুব শীঘ্রই ফিরবেন বলে আশা করছেন তাসকিন।‘এভাবে উন্নতির ধারা বজায় থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই টেস্টের জন্য যেতে পারব আশা করি। আর আমার তো বড় পরিবর্তনের দরকার ছিল না। কারণ, বড় সমস্যা ছিল না। ৭ ওভারের মধ্যে ৩টা বলে ত্রুটি পেয়েছিল তারা। সেটা বড় সমস্যা ছিল না। তারপরও যতটুকু কাজ হয়েছে তাতে আমি খুশি। অনেক ভালো অবস্থা এখন।’উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে সীমিত ওভারের খেলায় দুর্দান্ত হয়ে উঠেছিল তারা। সে ধারায় চলতি বছরে টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ খেলে টাইগাররা। এশিয়াকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। দলের এমন সাফল্যে দারুণ অবদান ছিল পেসার তাসকিন আহমেদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটাও করেছিল দুর্দান্ত; কিন্তু হঠাৎ করে সানি-তাসকিনের বোলিং অবৈধ ঘোষণার পরই যেন চিত্রতা পাল্টে যায়।আরটি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement