জাগো জবস

সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ই-কমার্স

ই-কমার্স হচ্ছে ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংঘটিত একক বা দলগত ব্যবসা। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ই-কমার্স এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে এই সেক্টরে ব্যবসা করে সফলতা পেতে প্রয়োজন ধৈর্য, জ্ঞান এবং চেষ্টা। অনেকেই আছেন কোনো প্রকার পরিকল্পনা ছাড়া শুধু ঝোকের বসে এই ব্যবসায় নেমে পড়ছেন। এতে তারা সফলতার পরিবর্তে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন। ই-কমার্সে নামার আগে সঠিক ভাবে জানতে হবে আসলে ই-কমার্স কী, এর সঠিক গাইডলাইন এবং হতে হবে সচেতন। তবেই আপনি হতে পারবেন একজন সফল উদ্যোক্তা। ই-কমার্স ব্যবসার ইতিহাস• ১৯৭১ মতান্তরে ১৯৭২ সালে অরপানেট ব্যবহার করে মারিজুয়ানা বিক্রি হয় স্ট্যানফোর্ড আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ল্যাবের ছাত্র ও ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্রদের মধ্যে।• ১৯৭৯ সালে মাইকেল অলড্রিচ প্রথম অনলাইন শপিংয়ের ডেমো দেখান।• ১৯৮১ সালে থমসন হলিডে ইউকে ইনস্টল করে প্রথম বিজনেস টু বিজনেস অনলাইন শপ।• ১৯৮২ সালে ফ্রেঞ্চ টেলিকম কোম্পানি মিনিটেল তাদের অনলাইন অর্ডার নেয়া শুরু করে।• ১৯৯০ সালে WWW এর জনক টিম বার্নারস লি প্রথম ওয়েব ব্রাউজার শুরু করে যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। এর ফলে ইন্টারনেট জগতে বিপ্লব সূচনা হয়, অনলাইন শপিং বা ই-কমার্স যাত্রা শুরু করে।• ১৯৯২ সালে বুক স্ট্যাকস আনলিমিটেড বুকস ডটকম নামে প্রথম ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসিং ব্যবহার করে।• ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে চায়নার ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ।• ২০০০ সাল মতান্তরে ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সালে আমাদের দেশ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ই-কমার্স সাইট- নাম মুন্সিজি ডটকম।• ২০০১ সাল। আলিবাবা ডটকম লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।• ২০০৩ সালে আমাজন প্রথম লাভের মুখ দেখে এবং তারা প্রথম বাৎসরিক প্রফিট ঘোষণা করে।• ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট এখনি ডটকম এবং আজকের ডিল ডটকম।• ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট রকমারি ডটকম। ফেসবুক থেকেও শুরু হয় ই-কমার্সের মত করে অনলাইন শপিং। ছোট ছোট উদ্যোক্তারা ফেসবুক কমার্স থেকে ই-কমার্সে ধাবিত হন।• ২০১৪ সালে ই-কমার্স বেশ জনপ্রিয় কুরিয়ার সার্ভিস, পেমেন্ট গেটওয়েসহ দরকারি অনেক ইনফ্রাস্টাকচার ছাড়াই এগিয়ে যেতে থাকে। বাইরের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। ই-কমার্স ব্যবসায় নামার আগে১. পণ্যের গুণগত মান যেন ঠিক থাকে। অর্থাৎ সেই পণ্যের গুণগত মানের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।২. আগেই ঠিক করে নিতে হবে কোন পণ্যটি বিক্রি করবেন। পণ্য নির্বাচনের সময় দেখে নিতে হবে অনলাইনে যারা কেনাকাটা করেন, তাদের কাছে সেটির আদৌ চাহিদা রয়েছে কিনা। ৩. এখন বাজার ধরতে কতটা ছাড় দেয়া সম্ভব সেই হিসাবটা আগে কষে নিতে হবে। অনেক সময় প্রতিযোগীদের কাছ থেকে বাজার ছিনিয়ে নিতে বড় রকমের ডিসকাউন্ট দিয়ে হয়। ৪. অর্ডার অনুসারে পণ্য যেন ঠিক মতো ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া যায় অর্থাৎ ডেলিভারি সিস্টেম ভালো রাখা জরুরি। তা না হলে গ্রাহকদের মধ্যে এই সংস্থার প্রতি ক্ষোভ জন্মাবে। তো আর দেরি না করে এখনই প্রস্তুতি নিন। আপনিও হয়ে উঠুন সফল অনলাইন ব্যবসায়ী।এসইউ/এমএস

Advertisement