লাইফস্টাইল

শাড়িতে সুন্দর

শাড়ির আবেদন কখনও কমে না। নিজেকে একটু বেশি আকর্ষণীয়, জমকালো আর অভিজাত করে ফুটিয়ে তুলতে শাড়িই যেন সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য বাঙালি নারীর কাছে। সেই  নির্ভরযোগ্যতায় ঐতিহ্যবাহী কাতান, বেনারসি, জামদানির যেমন কদর রয়েছে তেমনি জর্জেট, শিফন জর্জেট, সুতি, হাফসিল্কের প্রতিও বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে।কেমন শাড়ি চাইজর্জেট, শিফন জর্জেটের শাড়িগুলোতে রয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। ফুলেল নকশা, কলকা, লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা, একরঙার সঙ্গে চিকন লেস এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।হ্যান্ডপেইন্ট, কাটওয়ার্ক, কাঁথাস্টিক, ব্লক, মিরর, কারচুপি, বাটিক, ভেজিটেবল ডাই সবই খুঁজে পাওয়া যায় সিল্ক শাড়িতে। আর তাই নানা ধরনের সিল্ক শাড়ি বেছে নেয়া যায় অফিসে কিংবা পার্টিতে পরার জন্য। তাঁত, টাঙ্গাইল, কোটাসহ নানা রকম সুতি শাড়ি সববয়সীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। মণিপুরী তাঁত, সিল্ক তাঁত, কোটা শাড়িতে এখন কারচুপি, চুমকি, অ্যাব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক ব্যবহার করায় এগুলো এখন বেশ আকর্ষণীয় ও জমকালো হয়ে উঠেছে।ম্যাচিং ব্লাউজসুতি শাড়ির পুরোটাজুড়ে কারুকাজ করা থাকলে ব্লাউজটা সাদামাটা হলেই ভালো লাগবে। তবে শাড়ির কেবল আঁচল ও পাড় যদি জমকালো হয়, তাহলে ব্লাউজের কারুকাজেও জমকালো ভাব ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এছাড়া কন্ট্রাস্ট রঙ এবং থ্রি-কোয়ার্টার হাতের ব্লাউজও মানিয়ে যাবে। নানা রকম জর্জেট শাড়ির সঙ্গে ছোট হাতা কিংবা হাতাকাটা ব্লাউজই বেশি মানানসই। রুবিয়া ভয়েল, ক্রেপের কাপড় দিয়ে ব্লাউজ বানাতে পারেন। একরঙা শাড়ি হলে পরতে পারেন কাতান, সিল্ক, চেক প্রিন্ট, ব্রোকেডের ব্লাউজ। সিল্ক শাড়ির সঙ্গে উঁচু গলার নকশা করা ব্লাউজই ভালো লাগবে।মিলিয়ে সাজসিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতে এখন বেশ দেখা যাচ্ছে গাঢ় রঙের ব্যবহার। জমিনে গাঢ় নীল, সরসে, সবুজ, মেরুন, লাল, ছাই- এ রঙগুলোর জনপ্রিয়তা এখন বেশি। এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে হালকা সাজই ভালো লাগবে। সঙ্গে অ্যান্টিক ধাঁচের বা রুপার গয়না বেশ নজর কাড়বে। রঙের ক্ষেত্রে সুতি শাড়িতে হালকা শেডগুলোই বেশি আকর্ষণীয়। সবুজ, হালকা সবুজ, লেমন, অফ হোয়াইট ইত্যাদি সুতি শাড়িতে বেশ ভালো লাগে। সুতি শাড়ির সঙ্গে কানে পরতে পারেন মানানসই কাঠ, মাটি বা পুঁতির দুল। অ্যান্টিক রুপা, তামা ও কাঁসার গয়নাও চমৎকার লাগবে।

Advertisement