বিনোদন

জমলো না ‘কেলোর কীর্তি’ ঠেকানোর আন্দোলন!

কলকাতার ছবি `কেলোর কীর্তি` বাংলাদেশের কয়েকটি হলে আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি মুক্তির প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে নামে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। এরমধ্যে ছিল পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি ও চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র অ্যাকশন গ্রুপ ও সিডাবের নেতাকর্মীরা।তবে মানববন্ধনে পরিচালক সমিতি ও অন্যান্য সংগঠনের কয়েকজন প্রবীণ সদস্য উপস্থিত থাকলেও তারকা শিল্পী ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের মাঠে দেখা যায়নি। যার ফলে জমেনি আন্দোলন, থামছে না কেলোর কীর্তির প্রদর্শনীও। যতোটা গর্জন হয়েছিল আন্দোলন নিয়ে তার ছিটেফোটাও মিলেনি মাঠে। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে আন্দোলনে নামা সংগঠনগুলো। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রের একতা ও এই অঙ্গনের মানুষদের দায়িত্ববোধ। ভেস্তে গেছে একতরফা নীতিতে ভারতীয় ছবি আমদানির আন্দোলন। অবশ্য এ নতুন কিছু নয়। এর আগেও নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মাঠে থাকার কথা দিয়েও দেখা যায়নি তারকাদের।আজ পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, নির্মাতা আমজাদ হোসেন প্রমুখ। শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধনে ছিলেন কেবল বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ও অভিনেতা ওমর সানি। এছাড়া ছিলেন রুবেল এবং জায়েদ খান। তাছাড়া চোখে পড়ার মত কোনো তারকাদের দেখা যায়নি। যারা ভারতীয় ছবির আমদানিতে জাত গেল গেল বলে ফেসবুক ও বিভিন্ন চ্যানেলের টক শো`তে গলাবাজি করতে ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি নিয়ে ওমর সানি বলেন, `সবার একাত্মতা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয়না। আজকের এই মানববন্ধনে আরো অনেক শিল্পীর উপস্থিতি কাম্য ছিল। কিন্তু তারা আসেননি। বিষয়টি দুঃখজনক। এভাবে আমরা হেরে যাবো। সেটা সবার জন্যই অমঙ্গলের হবে।``কেলোর কীর্তি` মুক্তির প্রতিবাদে বিভিন্ন হলের সামনে মানববন্ধনে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি করতে দেখা যায়নি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর। তবে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তির প্রসঙ্গে একটি প্রভাবশালী মহলকে দায়ি করেন পরিচালক সমিতির নেতারা। এদিকে, চুক্তির নিয়ম যথাযথভাবে মানা হয়নি বলে ‘কেলোর কীর্তি’র প্রদর্শন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ জুলাই এসএফ ফিল্মসের প্রযোজক শরীফ হোসেন আদালতে রিট আবেদন করেন। এর পরদিন আদালত ছবিটির প্রদর্শনের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। পাশাপাশি এটি প্রদর্শন করা কেনো অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। ফলে বাংলাদেশে ভারতের বাংলা ছবিটির মুক্তি ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে কোনো বাধা নেই। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স আর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস এবং শাহীন, পূরবী ও আজাদ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজা চন্দ পরিচালিত ‘কেলোর কীর্তি’। এতে অভিনয় করেছেন দেব, যিশু সেনগুপ্ত, অঙ্কুশ, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত প্রমুখ। ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পায় গেল ৬ জুলাই। এনই/জেএইচ/এমএস

Advertisement