সম্প্রতি ইউরোপের বেশ কিছু এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের যেসব এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে মানচিত্রে সেসব এলাকা তুলে ধরে জনগণকে সতর্ক করেছেন ইউরোপের পররাষ্ট্র দপ্তর। তিউনেশিয়া বীচে সন্ত্রাসী হামলার পর পররাষ্ট্র দপ্তরের কার্যালয় থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে নিরাপদ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছিল। সেসময় যেসব এলাকা পর্যটকদের জন্য বিপজ্জনক সেসব এলাকা পর্যটকদের এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। ফ্রান্স এবং স্পেনের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলো সম্পর্কে সম্প্রতি উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে এফসিও। উচ্চমাত্রার সতর্কতার মধ্যে লেবানন, মিসর, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং তিউনিসিয়ার নামও রয়েছে। এফসিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি সন্ত্রাসীরা এখনো হামলার পরিকল্পনা করছে। এসব হামলা কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়া নির্বিচারেই চালানো হতে পারে। এসব হামলায় মূল লক্ষ্য হতে পারে বিদেশী পর্যটকরা। বেশ কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইতোমধ্যেই অপহরণের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের বেশ কিছু এলাকা এবং লেবাননের সীমান্ত এবং সিরীয় সীমান্তের কাছের কিছু এলাকা এড়িয়ে চলতে পর্যটকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কেননা এসব এলাকা সফর করার সময় পর্যটকরা হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে ২০১৩ সালে ২ কোটি ৬৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। দেশটি ব্রিটিশ পর্যটকদের কাছে এখনো বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ওই এলাকাও সন্ত্রাসী হামলার জন্য উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। তবে এফসিও জানিয়েছে, দেশের বেশ কিছু এলাকাও এখনো নিরাপদ রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত বছর তুরস্কে ২৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে তুরস্কের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে ভ্রমনের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টিটিএন/পিআর
Advertisement