জাতীয়

বন্দী স্থানান্তর ঘিরে ভোগান্তি

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে বন্দী স্থানান্তর ঘিরে এই এলাকায় প্রবেশের চারদিকের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।শুক্রবার ভোর থেকে পুলিশসসহ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারায় বন্দী স্থানান্তর করা হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কারাগার এলাকায় প্রবেশের চারদিকের পথ অর্থাৎ চানখারপুল, বংশাল, চকবাজার ও বেগমবাজারে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় যাদের বাসা বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল।  চানখারপুল এলাকার নাজিম উদ্দিন রোডের বাসিন্দা সৈয়দ আতিকুর রহমান বলেন, ভোরে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন আমার মা। মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি করে মাকে নিয়ে আসার সময় চাঁনখারপুল এলে পুলিশ সিএনজি প্রবেশে বাধা দেয়। মাকে নিয়ে বাধ্য হয়েই বাকি রাস্তা হেঁটে যেতে হয়। একই এলাকার সবজি বিক্রেতা আক্কাস আলী বলেন, সকালে দোকানের জন্য ভ্যানে করে কাঁচা বাজার এনেছি পাইকারি বাজার থেকে। কিন্তু মালামাল নিয়ে চানখরপুল মোড়ে আসলে মালামাল ভর্তি ভ্যান প্রবেশে বাধা দেয় পুলিশ। এতে বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে মালামাল রেখে ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় মাথায় করে মালামাল দোকানে নিয়ে যেতে হয়েছে। আগে থেকে জানলে আজ মালামাল নিয়ে আসতাম না।কারা অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ও শনিবার এ দুই দিনে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি কয়েদি ও হাজতিকে স্থানান্তর করা হবে। নতুন কারাগারে বন্দীদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য অর্ধশতাধিক বন্দীকে (বাবুর্চির কাজ করেন) অনানুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে।  গত বছরের জুন, নভেম্বর এবং এ বছরের এপ্রিল ও জুন মাসে আসামিদের স্থানান্তরের কথা উঠলেও নানা কারণে পেছানো হয় এই প্রক্রিয়া। অবশেষে আজ শুক্রবার বন্দীদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।কেরানীগঞ্জের নতুন এই কারাগারটি প্রায় ১৯৪ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত। এর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার।এএস/এআর/এএসএস/জেইউ/এনএফ/পিআর

Advertisement