বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মৌসুমি বন্যায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রবল বর্ষণের কারণে বেশ কয়েকটি দেশে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে ভূমিধস এবং বন্যায় নেপালে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।প্রত্যেক বছর জুন এবং জুলাইয়ের মাঝে মৌসুমি বন্যায় এই অঞ্চলে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানিতে ডুবে যাওয়া নেপালের বিভ্ন্নি গ্রাম থেকে শত শত মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তথ্য আসতে শুরু করেছে। ফলে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। মন্ত্রণারয়ের মুখপাত্র যাদভ প্রসাদ কৈরালা বিবিসিকে বলেন, বন্যায় কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভারতের বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ২২ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া চা চাষে বিখ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসামে বন্যায় ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ অঙ্গরাজ্যে বন্যা আক্রান্ত এক লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো বলছে, ১৫ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের এক তৃতীয়াংশ কুড়িগ্রাম জেলায়। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশটির খাইবার পাখতুন খাওয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসআইএস/পিআর
Advertisement