বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ৭ম আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। ১৯৯৯ সালের ওই বিশকাপে প্রথম অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবার অংশ নিয়েই জয় পায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে।বিশ্বকাপে দুর্বার ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তানকে ৬২ রানে বধ করে প্রথম জয়ে গোটা বাংলাদেশকে আনন্দ স্রোতে ভাসিয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল।ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনের সেই দিনটি ছিল বাংলাদেশের। টস জিতে পাকিস্থান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। দারুণ সূচনা এনে দেন তখনকার দুই সেরা ওপেনিং জুটি শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং মেহেরাব হোসেন অপি। দু’জনে মিলে তুলে ফেলেন ৬৯ রান। শাহরিয়ার হোসেন খেলেন ৬০ বলে ৩৯ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস। এরপর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সব দায়িত্ব কাঁধে নেন আকরাম খান ও অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫০ রান।আমিনুল ২৬ বলে ১৫ রান করে আউট হলেও আকরাম খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস। এছাড়া নাঈমুর রহমান দুর্জয় ১৩, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ১৪ এবং শেষের দিকে খালেদ মাহমুদ সুজন ৩৬ বলে ২৭ ও খালেদ মাসুদ পাইলট ২১ বলে ১৫ রান করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।সাকলাইন মুশতাক ৩৫ রানে তুলে নেন ৫ উইকেট। বাকিদের মধ্যে ওয়াকার ইউনিস ৩৬ রানে ২টি এবং ওয়াসিম ও শহীদ আফ্রিদি পান ১টি করে উইকেট।বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২২৩ রানের চ্যালেঞ্জ ধাওয়া করতে নেমে প্রতাপশালী পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬১ রানে। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ওয়াসিম আকরাম এবং আজহার মাহমুদ।ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সাফল্য পান খালেদ মাহমুদ। ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ১টি করে উইকেট নেন শফিউদ্দিন বাবু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৬২ রানে।
Advertisement