আকাশ পথে নিরাপদ ভ্রমণ, শতভাগ সিডিউলিং ও মানসম্মত যাত্রীসেবা দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের মনে শক্ত অাসন দখল করে নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। যাত্রা শুরুর পর থেকে নিয়মিতভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের আকাশ পথে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে বেসরকারি এই এয়ারলাইন্স।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বোত্তম কারিগরি সুবিধার জন্যে ইউএস-বাংলা দেশীয় এয়ারক্রাফট মেইনট্যানেন্স ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি আটজন দক্ষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশি এয়ারক্রাফট মেইনট্যানেন্স ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়েছে যারা সার্বক্ষণিক এয়ারক্রাফটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত থাকেন।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে ১৪ হাজারের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। দুর্ঘটনার হার শূন্যের কোটায়। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনায় অন-টাইম রেকর্ড ৯৮ শতাংশ যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি মাইলফলক।বাংলাদেশের ঘুনেধরা এভিয়েশন সেক্টরে কীভাবে এমন আশার আলো দেখালেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, এমনটি সম্ভব হয়েছে আমাদের দক্ষ পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাউন্ড স্টাফ সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ ব্যবস্থাপনা। আসলে সর্বোত্তম সেবা দিতে আমরা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যাত্রীদের অভিযোগকে আমরা সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভ্যন্তরীণ সেক্টরে ২০১৫ সালে প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার ৬শ` ৪৪ জন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেছেন, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি, এই অতিরিক্ত যাত্রী বৃদ্ধির হারের অন্যতম কারণ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উন্নতমানের যাত্রীসেবা ও সারাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সঙ্গে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ফ্লাইট সংযোগ।সম্প্রতি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে সপরিবারে কক্সবাজার বেড়িয়ে আসা এমএইচ সরকার বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে রয়েছে আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা, পরিপূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসম্মত আপ্যায়ন ব্যবস্থা।ইনফ্লাইটের সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এমএইচ সরকার বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ক্রুদের ব্যবহার চমৎকার। শিশুদের সিটবেল্ট বাঁধাসহ সব ধরনের দেখাশোনা করেন তারা। কোনো সমস্যায় কল করা মাত্র সবিনয়ে হাজির হয়ে শতভাগ পেশাদারিত্ব দেখান।ইউএস-বাংলায় চড়ে এসএইচ সরকারের মতো অনেকেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সাবেক বৈমানিক ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ মাহমুদ হাসান বলেন, বাংলাদেশর মৌসুমি আবহাওয়াকালীন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থেকে যাত্রীদের নিরাপদ রাখার জন্য ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট খুবই উপযোগী। এসব এয়ারক্রাপ্ট ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ হাজার ফুট উপর দিয়েও উড্ডয়ন করতে সক্ষম, যা যাত্রীদের অধিক নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে। এদিক থেকে ইউএস-বাংলার পক্ষ সমর্থন করে মাহমুদ হাসান বলেন, নির্ভরযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বটে।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ডমেস্টিক সেক্টরে “বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার” পুরস্কারে ভূষিত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। নিরাপদ ভ্রমণ, সঠিক গন্তব্য, নিয়মানুবর্তিতা, আরামদায়ক আসন ব্যবস্থা, ইন-ফ্লাইটে উন্নতমানের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস, দক্ষ ব্যবস্থাপনা সর্বোপরি যাত্রীদের জন্য নিরাপদ আকাশ পথের নিশ্চয়তা দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।আরএম/বিএ
Advertisement