বিএনপি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা ভুল করেছে। এখন বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কথা কেন বলা হচ্ছে সেটা বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
Advertisement
বিএনপি তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভুল করেছে এবং সেই ভুলের মাশুল তাদেরই দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একটা জিনিস বুঝিনা, সবাই আলোচনা আলোচনা করে এত ব্যস্ত কেন? আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজে টেলিফোন করেছিলাম, তার ফলাফল সবাই জানে। এখন কোন একটি রাজনৈতিক দল যদি পদক্ষেপ নিতে ভুল করে, তার দায়-দায়িত্ব কার?
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদকে মদদ দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বাঁচাবার জন্য মানুষ হত্যা করেছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তাদের আনার জন্য, আমাদের একেবারে তাদের আহ্বান করতে হবে, আলোচনা করতে হবে.. কেন এই প্রশ্ন আসে বার বার?
বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কোন আলোচনার কথা তিনি নাকচ করে দিলেও, আগামী নির্বাচনও ৫ জানুয়ারির মত একই পদ্ধতিতে হবে কিনা, সেই প্রশ্নের কোন সরাসরি জবাব শেখ হাসিনা দেননি।
Advertisement
তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে’ হয়েছে, এবং সেটার পরিবর্তে কোন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে আসা কাম্য হবে না। শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাঁর সরকারের মেয়াদ শেষ হবার পর নির্বাচন হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সেই নির্বাচন ঠেকাবার জন্য ব্যাপক নাশকতার আশ্রয় নেয়। ‘নির্বাচনে না এসে, অর্থাৎ গণতন্ত্রের পথে না থেকে, অগণতান্ত্রিক পথে আসার রাস্তা করে দেওয়াটা কি একটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সেই কাজটাই করেছে, কারণ তাদের মিত্র জামায়াত নির্বাচন থেকে বাদ পড়েছিল। জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিয়ম-নীতি ভঙ্গের দায়ে নিবন্ধন হারায়, যার জন্য তারা নির্বাচনে অংশ নেবার অধিকার হারায়।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের রক্ষার জন্য বিএনপি নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা নির্বাচন করেছি, সরকার গঠন করেছি, পার্লামেন্ট চলছে, অন্তত এখনকার পার্লামেন্টে বিরোধী দল থাকছে, কথা বলছে, সরকারে থাকলেও তারা বিরোধী দল হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার তাও তারা বলছে।
শেখ হাসিনা দাবি করেন যে, বিরোধী দলকে মন্ত্রীসভার অন্তর্ভুক্ত করাটা কোন নতুন বিষয় নয়, এবং এ ধরেনের সরকার তিনি গঠন করেছেন শান্তি এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে।
Advertisement
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে বলে যে অভিযোগ অনেকে করছেন, তা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র তার সরকারেরই সাহস আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করা।
তবে ‘তার সরকার এই বিচার এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়েছে’ বলে যে কথা কেউ কেউ বলছেন, তার কোন ভিত্তি নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যদি সরকারে না থাকতাম, বাংলাদেশে কার সাহস ছিল এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে এবং তাদের শাস্তি দেয় ? বিবিসি