গণগ্রেফতার সত্ত্বেও সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অটল রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে এরইমধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এরপরও আন্দোলন আরও জোরালো করার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কর্মসূচিতে নতুনত্ব নিয়ে আসতেও পরিকল্পনা করছে দলটি।তৃণমূল নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে খালেদা জিয়া খুবই খুশি বলে জানা গেছে। তাই চলমান এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তারেক রহমান লন্ডন থেকে চলমান কর্মসূচি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।এদিকে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় হজ্ব হিসেবে পরিচিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে আগামী ১৬জানুয়ারি।সূত্র জানায়, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে রাজপথে আন্দোলন জোরালো করার কৌশল অবলম্বন করতে চায় ২০ দলীয় জোট। ১৬ জানুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব উপলক্ষে সারাদেশ থেকে দলের নেতাকর্মীদেরকে ঢাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে দলটি কাজও শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র। ১৮ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরই রাজপথ দখলে রাখতে মহাপরিকল্পনা করছে বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলো।ইজতেমার আগে বা পরে রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতিও চাইবে বিএনপি। তখনও অনুমতি না পেলে আন্দোলনে আরও নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির গুলশান অফিসের একটি সূত্র।এদিকে লন্ডনের একটি সূত্র জানায়, যেকোন মূল্যে চলমান অবরোধ চালিয়ে যেতে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য তিনি প্রতিদিন আন্দোলনের অবস্থা জানতে নানাভাবে খবরাখবর নিচ্ছেন।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির মহানগর পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, অবরোধ সচল রাখতে বিএনপি চেয়ারপারসন যেকোন সময় পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন। পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে এ ব্যাপারে বেশ গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও তারা জানান।কৃষকদলের এক নেতা বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দলের কোনো সমর্থক অনীহা প্রকাশ করলেও আন্দোলন তাকে করতেই হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানান। -এমএম/বিএ
Advertisement