খেলাধুলা

মিরপুর শের-ই বাংলায় অনার্স বোর্ড চান তামিম

২০১০ সালের ৩০ মে। লর্ডস টেস্টে চতুর্থ দিনে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। শঙ্কা, ইনিংস ব্যাবধানে হেরে যাওয়ার। ওই পরিস্থিতিতেও মাত্র ৯৪ বলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে প্রতিরোধ গড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল। শুধু তাই নয়, সঙ্গে সঙ্গেই লর্ডসের বিখ্যাত অনার্স বোর্ডে নাম তুলে ফেললেন তিনি। সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই আগামী অক্টোবরে আবার মাঠে নামবে তামিম-মাশরাফিরা। তবে এর আগে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লর্ডসের মত অনার্স বোর্ড চান এ দেশের সেরা এই ওপেনার।বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘লর্ডসের মত একটা অনার্স বোর্ড আমি মনে করি আমাদেরও অবশ্যই থাকা উচিৎ। লর্ডস যেমন ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য শের-ই বাংলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। শুধু লর্ডসে নয়, ইংল্যান্ডের অনেক মাঠেই এমন বোর্ড আছে; যেমন ওল্ড ট্রাফোর্ডেও।’তামিমের মতে বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা ক্রিকেটারদেরও স্বপ্ন থাকে শের-ই বাংলায় খেলার। সেখানে এমন কিছু থাকলে, ওরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করেন তামিম এবং ক্রিকেটাররা যখন তাদের ক্যারিয়ার শেষ করবে তখন এ সাফল্য তাদের পরিবারকে দেখিয়ে গর্বও করতে পারবে। তাই মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামেও অনার্স বোর্ড চান তিনি। ‘আমার জন্য সব মাঠই গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমার দেশের নিজের মাটি একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি একটা বোর্ড করা হয়, কেউ যদি বড় কোন কীর্তি করে ওইগুলা যদি লেখা হয় সেটা যতদিন খেলবো ততদিন হয়তো মূল্য বুঝবো না, যখন ক্রিকেট ছেড়ে দেবো, তখন বুঝবো। তখন আমি আমার ছেলেকে দেখাতে পারবো আমি এখানে কিছু একটা করেছিলাম। আমি নিশ্চিত অন্য সবাই তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখাতে পারবে।’অনার্স বোর্ডের পাশাপাশি ক্রিকেট জাদুঘরেরও তাগিদ অনুভব করেন তামিম। তবে তিনি আশাবাদী সময় হলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তা করে ফেলবে। ধীরে ধীরেই সব হবে বলে মনে করেন তিনি। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বলেই এ বিশ্বাস তার।‘সবকিছুই থাকা গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু এর একটা সময় থাকে। এখন যে সুবিধা আছে এটা পাঁচ বছর আগে ছিলো না। আমাদের ক্রিকেট ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বিসিবিও ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠছে। সবকিছু ঠিকই হচ্ছে। যখন সঠিক সময় হবে, আমি নিশ্চিত বিসিবি সেটাও করবে। আমাদের সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের অনার্স বোর্ডে তামিমের আগেই এ কীর্তি করেছেন একজন বাংলাদেশি বোলার। একই টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে সে বোর্ডে নাম লেখান শাহাদাত হোসেন। আরটি/আইএইচএস/এমএস

Advertisement