রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে জুবায়ের হোসেন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।জুবায়ের নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আবদুল্যাহ মেম্বারের বাড়ির আবদুল কাইয়ুমের ছেলে। তিনি নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্সের ছাত্র ছিলেন।জুবায়ের হোসেনের বাবা আবদুল কাইয়ুম জানান, মে মাসের ৪ তারিখ থেকে জুবায়ের নিঁখোজ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে সে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো। বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবি দেখে তারা জুবায়েরকে চিনতে পারে। তাদের ধারণা, জুবায়েরের চাচাতো ভাই বাহাদুর জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার যোগসাজশে সে ঢাকায় গিয়ে জঙ্গি দলে যোগ দেয়। জুবায়েরের ভগ্নিপতি জানান, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বাহাদুর দীর্ঘদিন থেকে নিঁখোজ। বাহাদুরের মাধ্যমে তার শ্যালক জুবায়ের হোসেন জঙ্গি দলে যোগ দেয়। নিখোঁজ বাহাদুরের শ্বশুর নুরুল আমিন জানান, তার জামাতা সৌদি আরব থেকে আসার পর স্থানীয় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যোগ দেয়। বিভিন্ন সময়ে সে বাড়িতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট শুনতো আর বাড়ির যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের কাফের বলতো। তিনি আরো জানান, জুবায়ের স্কুল জীবন থেকে শিবির করতো। একবার তাকে তাবলিগে পাঠানো হয়েছিল। সে তাবলিগ থেকে এসেও শিবিরের রাজনীতি ছাড়েনি। এদিকে এ ঘটনা জানতে পেরে বুধবার সকালে সুধারাম থানা পুলিশ নিহত জুবায়ের ও নিখোঁজ বাহাদুরের পরিবারের স্বজনদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ পিপিএম সেবা জানান, জুবায়ের হোসেন নিখোঁজের পর একটি সাধারণ ডায়েরি তার পরিবারের পক্ষ থেকে ১২ জুলাই সুধারাম থানায় এন্ট্রি করা হয়। এছাড়া পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ পাঁচজনের একটি তালিকা করলেও শুরু থেকে জোবায়েরকে নিয়ে তাদের একটি সন্দেহ কাজ করছিল। বিষয়টি তারা তদন্তও করছিলেন। এখন যেহেতু তার পরিবার দাবি করছে নিহত জুবায়ের তাদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।মিজানুর রহমান/এসএস/আরআইপি
Advertisement