আল্লাহ তাআলা মানুষের কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন। সঠিক কর্ম সম্পাদনে বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন। আবার পূর্ববর্তী আয়াতে ধমকের সুরে বলেছেন, ‘তোমাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা অমনোযোগী নন।’ অর্থাৎ তোমাদের প্রতিটি কর্মের ব্যাপারেই আল্লাহ তাআলা খবর রাখেন। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ধমকের তাকিদ দিয়েছেন যে, তিনি প্রত্যেকের কাজের (আমলের) পরিপূর্ণ বদলা দিবেন। প্রতিটি কাজের হিসাব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘তারা ছিল কিছু লোক। তারা আজ আর নেই। তারা যা কিছু উপার্জন করেছিল তা ছিল তাদের নিজেদের জন্য। আর তোমরা যা উপার্জন করবে, তা তোমাদের জন্য। তাদের কাজের ব্যাপারে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৪১)পূর্ববর্তী আয়াতের ধমকের পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ঐ সব মহামানব (পূববর্তী নবি-রাসুলগণ) তো তাঁর (আল্লাহর) নিকট পৌঁছে গেছে। এখন যদি তোমরা তাঁদের পদাংক অনুসরণ না কর, তবে তোমরা তাঁদের বংশধর হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তাআলার নিকট তোমাদের কোনো সম্মান নেই। আর তোমাদের অসৎ কাজের বোঝাও তাঁদেরকে বইতে হবে না। তোমরা যখন এক নবিকে অস্বীকার করছ, তখন তা সকল নবিকেই অস্বীকার করার সমতুল্য।বিশেষ করে তোমরা সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে জীবন-যাপন করেও তাঁকে অস্বীকার করছ! অথচ তিনি হলেন সমস্ত নবিদের নেতা। যাঁকে সকল মানব ও দানবের নিকট রহমতস্বরূপ নবি করে পাঠানো হয়েছে। তাঁর রিসালাতকে মেনে নেয়া প্রত্যেকের ওপর বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।পরিশেষে...যারা বিশ্বনবিকে বাদ দিয়ে নিজেদেরকে পূর্ববর্তী নবিদের অনুসারী বলে দাবি করছে, অথচ তাদের রেখে যাওয়া বাণিকে গোপন করে বিশ্বনবির রিসালাতের বিরোধিতা করছে। তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত। মুসলিম উম্মাহ যাতে তাদের এ প্রতারণা ও ধোকায় না পড়ে। তাই এ আয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত মুশরিকদেরকে ধমকের পাশাপাশি উম্মাতে মুহাম্মাদিকে সতর্ক করা হয়েছে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। ইসলামের সঠিক মতাদর্শ ও সৌন্দর্য মানুষের কাছে তুলে ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস /এমএস
Advertisement