আন্তর্জাতিক

আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেলেন হিলারি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। দলের ন্যাশনাল কনভেনশনে সুপার ডেলিগেটদের সমর্থন পেয়েই চূড়ান্ত মনোনয়ন অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি। চূড়ান্ত মনোনয়নের আগে হিলারিকে নিয়ে নানা বিতর্ক উঠে আসে। উইকিলিকসে প্রকাশিত কয়েক হাজার ইমেইল নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ডেমোক্রেট দলের প্রধান ডেবি ওয়াসারমান শুলজ। ইমেইল ফাঁসের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সমালোচনা শুনতে হয়েছে হিলারিকে। আর এ কারণে তার মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও সব বিতর্ক পাশ কাটিয়ে প্রত্যাশিত মনোনয়ন নিশ্চিত করলেন হিলারি।মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নতুন ইতিহাসের জন্ম দিলেন। কেননা এর আগে কোনো নারী  দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পায়নি। এদিকে, হিলারির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। অবশ্য অনেক আগেই হিলারির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামাও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য হিলারি ক্লিনটনই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। সোমবার ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে হিলারি সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেন মিশেল ওবামা।মনের পূর্ণ আবেগ দিয়েই হিলারিকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন মিশেল। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে একজনই আছেন যিনি সত্যিকার অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য। তিনি আমাদের বন্ধু হিলারি ক্লিনটন। এই নির্বাচনে আমি তার পাশে আছি।’তিনি আরো বলেন, হিলারির কারণে আমার মেয়েরা এবং আমাদের মেয়ে এবং সব ছেলেরা একজন নারী যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারে সে বিষয়টি খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। এদিকে, ডেমোক্রেট দলে হিলারির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সও তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কনভেনশনে দেয়া বক্তব্যে হিলারির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে স্যান্ডার্স বলেছেন, হিলারিরই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত।  যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি অনেক বেশি যোগ্য। তার চিন্তা এবং নেতৃত্বের জন্য তিনিই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আর একারণে নিজের সমর্থকদের ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে হিলারিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্যান্ডার্স।বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়ে স্যান্ডার্স বেশ চমক দেখালেও শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধির সমর্থন যায় হিলারির দিকেই। আর শেষ পর্যন্ত নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন হিলারি।২০০৮ সালের দলীয় মনোনয়নযুদ্ধে বারাক ওবামার কাছে হারতে হয়েছিল সাবেক এ ফার্স্টলেডিকে। তবে ওবামার প্রথম দফা ক্ষমতায় সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন হিলারি। কনভেনশনে ৫০ জন সুপার ডেলিগেটের সবার ভোট পেয়েছেন হিলারি। এছাড়া সাধারণ ডেলিগেটদের মধ্যে ২ হাজার ৩শ ৮২ ভোট নিয়ে মনোনয়ন গ্রহণ করেন তিনি।আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন হিলারি আর ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি হিলারি জয়ী হন তবে আবারো নতুন ইতিহাস গড়বেন তিনি। টিটিএন/এমএস

Advertisement