হরতাল-অবরোধের নামে আতঙ্ক জনদুর্ভোগ বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। দশম জাতীয় জতীয় সংসদ ও বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে একের পর সহিংস ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারা, বোমা মারা, রেল লাইনের ফিস প্লেট খুলে জনদূর্ভোগ বাড়ানো সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত। যা দেশের শান্তিকামী মানুষ মোটেও কামনা করেন না।দেশে চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আর্থিক খাতগুলোর বাইরে শিক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার নানা পর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।রওশন বলেন, আমাদের শিশুরা আগামীর ভবিষ্যৎ। শিশুদের পড়ালেখা যেন বিঘ্ন না ঘটে তাদের আগামীর পথ যেন আরও সুন্দর ও মসৃণ হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি দিতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতের ফলে দেশের বিশাল আর্থিক ক্ষতি যখন কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটবে।দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে আরো তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প, কৃষি ও পরিবহণ খাত। অবরোধের কারণে পরিবহণ চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।তিনি বলেন, ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষক সমাজ। কাঁচামাল সরবরাহ না হওয়ায় উৎপাদন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পুঁজিহারা হচ্ছে। বৃহৎ সহ ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা ব্যাঘাত ঘটছে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের আর্থ সামাজিক জীবন যাত্রার ওপর।রওশন এরশাদ বলেন, হরতাল-অবরোধের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।তিনি বলেন, মানুষ এখন সংঘাতহীন ও রাজপথবিমূখ কর্মসূচি চায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে সাধারণ মানুষের মর্মকথা উপলব্ধি করে কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার আহবান জানান বিরোধীদলীয় নেতা।আরএস
Advertisement