আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে ছাত্রসমাজই যথেষ্ট। তারাই পারবে দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত করতে।তিনি আরো বলেন, গুলশানে বসে খালেদা জিয়া যখন পুড়িয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি ও দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল, তখন জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করেছে। এর থেকে বড় জাতীয় ঐক্য আর হতে পারে না। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে এক বর্ধিত সভা ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।নানক বলেন, ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক জান্তা জিয়া সন্ত্রাসের একটি বীজ বৃক্ষরোপণ করেছিলেন। আর খালেদা জিয়া সে বীজ বৃক্ষকে লালন করে বটবৃক্ষে পরিণত করেছেন। এখন জামায়াতকে পাশে রেখে তিনি ঐক্যের নামে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়াচ্ছে তখন খালেদার বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।তিনি বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চাই। এজন্য মুসলমানিত্বের পরিচয় দিতে হবে না। ধর্মের নামে জঙ্গিরা হলি আর্টিসানে আমার বোনদের কাঁটা চামচ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। তাদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।এ সময় তিনি ছাত্রলীগকে ঢাকার ওপর একটি জরিপ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমি যখন ১/১১-এর পর আদাবর থেকে নির্বাচন করছিলাম, তখন ছাত্রলীগের মেয়েরা পুরো আসনের ওপর একটি চুলচেড়া বিশ্লেষণ আমাকে দিয়েছিল। যেসব পরিবার আওয়ামী লীগ করে তাদের ফ্ল্যাটের দরজায় এ, যারা বিএনপি করে তাদের বি, যারা জামায়াত করে তাদের সি এবং যারা নিরপেক্ষ তাদের এন লিখেছে। ছাত্রলীগ চাইলে পুরো ঢাকার ওপর এমন একটি চুলচেড়া বিশ্লেষণ করতে পারে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুভাষ সিংহ রায়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।এমএইচ/এমএমজেড/এবিএস
Advertisement