‘বাঘ রক্ষা করে সুন্দরবন, আর সুন্দরবন রক্ষা করে বাংলাদেশকে’- এই স্লোগানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের দুর্লভ আলোকচিত্র নিয়ে শুরু হয়েছে খান ফাতিম হাসানের প্রথম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘বাঘযাত্রা’ (জার্নি উইথ টাইগার্স)। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে আই.এম.কে.এফ এইচ. ফটোগ্রাফির উদ্যোগে চলছে ব্যতিক্রমী এই প্রদর্শনী। গত ২৪ জুলাই রোববার ছিলো বিশ্ব বাঘ দিবস। এই দিনটিকে উপলক্ষ করেই বাঘের ছবি নিয়ে বিশেষ এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়েছে। বাঘের বিচিত্র ভাব-ভঙ্গিকে নানামাত্রায় ক্যামেরার শৈল্পিকসৃজনে ধারণ করেছেন আলোকচিত্রী খান ফাতিম হাসান। প্রদর্শিত এসব ছবিতে ছেয়ে গেছে জাতীয় চিত্রশালার তৃতীয় তলার গ্যালারি। যেন বাঘের হাটে রূপ নিয়েছে। প্রথমদিন থেকেই দর্শনার্থীদের সরব পদচারণায় মুখরিত প্রদর্শনীস্থল। প্রতিটি আলোকচিত্রে বাঘ যেন জীবন্ত। হয়তো এতো-এতো অভিব্যক্তি বা ভঙ্গিতে সরাসরি কিংবা কোনো আলোকচিত্রেও কেউ কখনো বাঘকে দেখেনি, যা এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। তাইতো উৎসুক দর্শনার্থীরা বেশ উপভোগ করছেন প্রদর্শনীটি।গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খান।২৫-২৯ জুলাই বেো ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাঘের প্রদর্শনী নিয়ে শিল্পী খান ফাতিম হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের খুব কাছ থেকে ছবিগুলো তুলেছি। বাঘের আলোকচিত্র নিয়ে বাংলাদেশে এটিই প্রথম প্রদর্শনী। পৃথিবীজুড়ে বাঘের সংখ্যা যে হারে হ্রাস পাচ্ছে, এতে করে এমন একদিন আসবে যেদিন বাঘ শুধু ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হবে। তখন আর মানুষ এই অবিরাম সুন্দর প্রাণীটিকে দেখতে পাবে না। তাই বাঘ বাঁচাতে জনসচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাঘের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির প্রয়াসে আমার এই পথচলা।’তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৬’ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ আয়োজনে সহায়তার জন্য শিল্পকলা একাডেমির প্রতি আমি অশেষ কৃজ্ঞতা। বাঘের বিভিন্ন মুহূর্তের প্রাণবন্ত ছবিগুলো দেখে দর্শনার্থীদের ভেতর ভিন্নতর অনুভূতি ও ভালোলাগা তৈরি হবে বলে আমার বিশ্বাস।’ এলএ/পিআর
Advertisement