জাতীয়

থান্ডার বোল্টের পর অপারেশন স্ট্রম ২৬

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরদিনে সকালে সেনাবাহিনীর কমোন্ড অভিযান ‘অপারেশন থান্ডার বোল্টে’ ৬ জঙ্গি নিহত হয়। সবশের্ষ কল্যাণপুরে মঙ্গলবার ভোরে র্যাব-পুলিশের ‘অপারেশন স্ট্রম ২৬’ অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছে। চলতি মাসেই রাজধানীতে পর পর দুটি বড় অপারেশন চালালো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটার পরপরই সেখানে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত হন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাভার ও সিলেট থেকে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারা কমান্ডো আনা হয়। এর মধ্যে নৌবাহিনীর ৩০ জন কমান্ডো উপস্থিত ছিলেন। তবে এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ঘটনাস্থলে আসার পর সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জিম্মি সঙ্কটের অবসানের অভিযান। মূল ভবনে ঢোকার ২০ মিনিট আগে থেকে ভবনের চারপাশে এপিসি ট্যাঙ্ক রেকি করে। এরপর হামলাকারীরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভবনে ঢুকে পড়ে কমান্ডো বাহিনী। মাত্র ১১ মিনিটে হামলাকারীদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ করে কোনো ক্ষতি ছাড়াই ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে কমান্ডো বাহিনী। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। সোমবার (২৫ জুলাই) রাত আনুমানিক ১১টায় রাজধানীর কল্যাণপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় বিভিন্ন মেসে তল্লাশি চালাচ্ছিল। ৫৩/৫ নম্বর রোডের  তাজ মঞ্জিল  অর্থাৎ ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামক বাড়িটার সামনে এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায় র‌্যাব, সোয়াট, ডিবির সদস্যরা। ভোর সাড়ে ৫টায় যৌথবাহিনীর সদস্যেদের অংশগ্রহণে ‘অপারেশন স্ট্রম ২৬’ শুরু হয়। এছাড়া ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে পুলিশের দুই সদস্য, এক নারী, সন্ত্রাসীসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে পুলিশ। জেএইচ/পিআর

Advertisement