লাখো ভক্ত উদ্বিগ্ন! কী হয়েছে মোস্তাফিজের? বাহুর ইনজুরি কতটা গুরুতর? খারাপ কিছু নয় তো? কাটার মাস্টার কি আর সাসেক্সের হয়ে খেলতে পারবেন? জানতে উন্মুখ সবাই।বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বারবার ঘড়ি দেখছেন আর সময় মেলাচ্ছেন এবং বলছেন, কী ব্যাপার ইংল্যান্ডে এখন তো বিকেল। এখনো এমআরআই রিপোর্ট আসলো না!জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলামও চরম উদ্বিগ্ন। ইংল্যান্ড থেকে কাটার মাস্টারের কোনো মেইল এসেছে কি না, জানতে উন্মুখ ফিজিও বায়েজেদুল ল্যাপটপ খুলে বসে আছেন; সেই মেইলে তার বাহুর এমআরআই রিপোর্ট আসতে পারে এই আশায়।কিন্তু বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার কিছু পরও (ইংল্যান্ড সময় তখন বিকাল প্রায় ৪টা) মেইল আসেনি। তাই মোস্তাফিজের বাঁহাতের চোট আসলে কত গুরুতর, সোমবার পর্যন্ত তা অজানাই থেকে গেছে।তবে ওই সময়ের মধ্যে এমআরআই রিপোর্ট না পাওয়াকে অস্বাভাবিক ভাবতে নারাজ বিসিবির ফিজিও। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে বায়েজেদুল জানিয়েছেন, অনেক সময় এমআরআইয়ের রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে দেয় না। কখনো কখনো একদিন লেগে যায়। তাই হয়তো সোমবার আর পাওয়া যায়নি। আশা করছি মঙ্গলবার এমআরআই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।এদিকে এমআরআই রিপোর্ট না দেখা পর্যন্ত অনুমানের ভিত্তিতে আগাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বায়েজেদুল। তার কথা, ‘অনুমানের ওপর নির্ভর করে তেমন কিছু বলা ঠিক না। তবে আমার সঙ্গে বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ৩টার দিকে কথা হয়েছে মোস্তাফিজের। তখনো এমআরআই হয়নি। শুধু বলছিল ব্যাথা আছে।’ব্যাথার প্রচণ্ডতা তেমন বেশি নয়, মোস্তাফিজের কাছ থেকে এ খবর পেয়ে খানিক চিন্তামুক্ত বায়েজেদুল বললেন, ‘ব্যাথা যেহেতু খুব বেশি না, তাই আমার মনে হচ্ছে ইনজুরি তত জোরালো নয়। যদি তাই হয়, তাহলে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নাও হতে পারে।’সরাসরি এর বেশি কিছু না বললেও বিসিবি ফিজিও কিছু উদাহরণ টেনেছেন। যা চিন্তার খোরাক তৈরি করে বৈকি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোস্তাফিজের এমআরআই রিপোর্টই বলে দেবে সমস্যা কতটা জটিল। যদি বেশি সমস্যা হয়, তাহলে অপারেশন করতে হবে। যেমনটা করতে হয়েছে আরেক পেসার রুবেল হোসেনের।আর খুব জটিল কিছু না হলে রিহ্যাবেই সেরে যাবে হয়তো। সেই রিহ্যাবেরও নিশ্চয়ই একটা সময়সীমা থাকবে। ফিজিওর জবাব, অবশ্যই থাকবে। তার অর্থ, ইনজুরি গুরুতর না হলেও মোস্তাফিজের এ সফরে সাসেক্সের হয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা খুবই কম।এদিকে সাসেক্সের হয়ে বাকি টি-টোয়েন্টি ও ৪০ ওভারের ম্যাচ খেলাই শুধু অনিশ্চিত নয়, তারচেয়ে বড় চিন্তার কারণও আছে। এমআরআই রিপোর্ট খারাপ এলে অস্ত্রোপচার করা লাগবে।সে ক্ষেত্রে বেশ কয়েক মাসের ধাক্কা। ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মোস্তাফিজের মতো ইনজুরির শিকার হয়েছিলেন আরেক পেসার রুবেল হোসেনও। তার ইনজুরি মুক্তির জন্য অপারেশন লেগেছে।সে অপারেশনের ধকল কাটিয়ে রুবেলের মাঠে নামতে অপেক্ষা করতে হয়েছে নয় মাস। রুবেলের মতো অত জটিল না হলেও বাহুর অপারেশনে আড়াই মাস মাঠের বাইরে ছিলেন টপ অর্ডার এনামুল হক বিজয়ও।এখন মোস্তাফিজের যদি অপারেশন করতে হয়, তাহলে তাকেও কয়েক মাস মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের সঙ্গে হোম সিরিজ তো বটেই আরও অন্তত এক সিরিজ বসে কাটাতে হবে তাকে।এআরবি/আইএইচএস/বিএ
Advertisement