আন্তর্জাতিক

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ফ্লোরিডা হামলা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নাইট ক্লাবে বন্দুকধারীর হামলার চিত্র উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়। সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফর্ট মায়ারের ওই নাইট ক্লাবে গোলাগুলিতে অন্তত দুজন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।  হামলায় নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর। ক্লাবে তরুণ-তরুণীদের একটি পার্টিতে ওই হামলা হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই তরুণ। প্রত্যক্ষদর্শী তাতিয়ান্না নোওহাইও এবিসি নিউজকে বলেন, ‘এটি ছিল তরুণ-তরুণীদের একটি অনুষ্ঠান। সেখানে শিশুরা ছিল। আমি এক শিশুর হাত ধরে ছিলাম, যার বয়স ১৪ বছর; সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং সেখানে আরো একটি ছোট্ট শিশু ছিল, বয়স ১৩ বছর, সেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এক নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তারও বয়স ১৩ বছর।’ ফর্ট মায়ারস পুলিশ বিভাগ বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ওই নাইট ক্লাবে হামলার খবর জানতে পায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ অভিযান চালায়। সাইরিতা গেরির মেয়েও হামলার সময় ক্লাবে ছিল। গেরি ফক্সফোরনিউজকে বলেন, ‘গোলাগুলির মধ্যে তার মেয়ে দৌড়ে পালিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, এটি হাস্যকর যে, একই ধরনের শিশু অন্যান্যদের আছে, কিন্তু তাদের মানসিকতা অপরাধপূর্ণ; তারা ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়।’গেরি বলেন, আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই যে, আমার মেয়ে নিরাপদ আছে, সেও গুলিবিদ্ধ হতে পারতো। হামলায় আহত টিমোথি সেটেলস নামের এক তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া লাইভ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গুলিবিদ্ধ টিমোথি গলাবন্ধনি পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন।ফ্লোরিডা হামলার ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশি জিম্মায় নেয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলছে, গোলাগুলির ঘটনার সঙ্গে আরো একটি অপরাধের ঘটনা জড়িত। তদন্ত চলছে। এসআইএস/এবিএস

Advertisement