আল্লাহ তাআলা শুধুমাত্র আমাদের প্রতিপালকই নন, তিনি সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ইসলামের বিরুদ্ধবাদীদের এ কথাই জানিয়ে দেন যে, তোমরা কি এ কারণেই আমাদের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত যে, আমরা এক আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি করি। তাঁরই জন্য নিষ্ঠা এবং উদ্যম রাখি; তাঁর আদেশাবলী পালন করি এবং নিষেধাবলী থেকে বিরত থাকি। অথচ তিনি শুধুমাত্র আমাদের প্রতিপালকই নন বরং তিনি তোমাদেরসহ সারা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবিকে মুশরিকদের ঝগড়া বিদুরিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-(হে রাসুল!) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করছ? অথচ তিনিই আমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের ও পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। এবং আমরা তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩৯)এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর নবিকে বলছেন, হে নবি! ইসলাম বিদ্বেষীদের বলে দিন- তোমরা আমাদের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ, অকৃত্রিমতা, আনুগত্য ইত্যাদির ব্যাপারে বিবাদ করছো কেন? তিনি তো শুধু আমাদের প্রভু নন; বরং তোমাদেরও প্রভু। তিনি আমাদের এবং তোমাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং তিনি আমাদের সবার মহাব্যবস্থাপক। আমাদের আনুগত্যের প্রতিদান আমাদেরকে দেয়া হবে। আমরা তোমাদের প্রতি এবং তোমাদের শিরকে প্রতি অসন্তুষ্ট।আল্লাহ তাআলা আমাদের এবং কুরআন বিদ্বেষীদের ওপর সমানভাবে ক্ষমতাবান। তিনি আমাদের সবারই ব্যবস্থাপক। এ জন্য আল্লাহ তআলা অন্য আয়াতে বলেন, ‘এরা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে বলে দাও- আমার জন্যে আমার কাজ এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কাজ, তোমরা আমার (সৎ) কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট এবং আমিও তোমাদের (অসৎ) কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট।মুসলিম উম্মাহর উচিত, ইসলামের কোনো বিষয়েই বিরুদ্ধবাদীদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত না হয়ে উত্তম কথার দ্বারা দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করে যাওয়া। কুরআনের পরিপূর্ণ আমল করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement