দান-সাদকা অন্যতম সৎকাজ। এ কাজে দুনিয়া ও পরকালে মানুষের কল্যাণ সাধিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো।’ অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সেই পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলো, যা তোমাদের প্রভুর ক্ষমা এবং আকাশ ও পৃথিবী সমান প্রশস্ত জান্নাতের দিকে এগিয়ে গেছে।’ সুতরাং আল্লাহর ক্ষমা এবং জান্নাতের পথে এগিয়ে যেতে দান-সাদকার প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। এ দান-সাদকার প্রতিযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ সময় সম্পর্কে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত একদিন একলোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোন দানে (সাদকায়) সবচেয়ে বেশি সাওয়াব? তিনি বললেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করবে যে, তুমি (শারীরিকভাবে) সুস্থ; ধন-সম্পদের প্রতি লোভ আছে; অভাব-অনটনকে ভয় করছো। এবং ধন-সম্পদের আশাও পোষণ করছো।তুমি দান করার ব্যাপারে এমন কার্পণ্য পোষণ করো না যে, শেষে মৃত্যুর ক্ষণটি এসে যায়, এবং তখন তুমি এটা ঘোষণা কর যে, এ পরিমাণ অমুকের এবং সে পরিমাণ অমুকে। অথচ অমুকের জন্য সে মাল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। (বুখারি ও মুসলিম)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুস্থাবস্থায় সম্পদের খাহেশ থাকার ভরা যৌবনে তাঁর পথে দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement