খুব অল্প করে সাজলেও আপনি কোনোভাবেই চোখ এবং ঠোঁটকে বাদ দিয়ে সাজতে পারবেন না। সাজের মাধ্যমে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে ঠোঁট অন্যতম অংশ। ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখা লিপস্টিকের রং প্রয়োগের মাধ্যমে একটু বাড়িয়ে বা কমিয়ে ঠোঁটের আকার পরিবর্তন করা যায়। চলুন জেনে নেই কিভাবে ঠোঁটের আকারে পরিবর্তন আনা সম্ভব।পাতলা ঠোঁট : যাদের ঠোঁট পাতলা তারা ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখার ঠিক বাইরে আউটলাইন এঁকে নেবেন লিপ লাইনার বা লিপ ব্রাশের সাহায্যে। এর পর গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক আউটলাইন বরাবর সারা ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখাবে। সবশেষে লিপগ্লস ব্যবহার করে ঠোঁট বাড়তি চকচকে করে নিন। পাতলা ছোট ঠোঁট ভরাট ও বড় দেখানোর জন্য ঠোঁটের আসল সীমারেখা সামান্য বাড়িয়ে আউটলাইন এঁকে নিন। এবার গাঢ় বা হালকা রংয়ের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করে নিন।দুই কোণ চাপা ভরাট ঠোঁট : যাদের ঠোঁট এ ধরনের তারা আউট লাইন আঁকার সময় ঠোঁটের দুই কোণ বাড়িয়ে মানানসই আউটলাইন আঁকবেন। এ ধরনের ঠোঁটে সব সময় হালকা রংয়ের লিপস্টিক লাগালে ভালো লাগে।ফোলা ঠোঁট : যাদের ঠোঁট একটু ফোলা ধরনের, তারা ঠোঁট মানানসই করার জন্য ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখা বরাবর ম্যাচিং শেড ব্যবহার করে আউট লাইন আঁকুন। এবার উপরের ঠোঁট ও নিচের ঠোঁট ভরাট করুন যথাক্রমে হালকা ও গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক দিয়ে। ফোলা ঠোঁট হলে লিপগ্লস না লাগানোই ভালো। তবে ফোলা ঠোঁট যদি মুখশ্রীর সঙ্গে মানানসই হয় তাহলে শুধু নিচের ঠোঁটে লিপগ্লস লাগাতে পারেন। ভরাট ঠোঁট : ভরাট ঠোঁটের ক্ষেত্রে প্রকৃত সীমারেখা বরাবর বা সামান্য কমিয়ে আউট লাইন আঁকুন। ঠোঁটের দু’কোনায় আউটলাইন মেলাবেন না। সামান্য ফাঁক রাখবেন। এবার গাঢ় বা মাঝারি রংয়ের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করুন। প্রসারিত ঠোঁট : হালকা রংয়ের লিপলাইনার ব্যবহার করে প্রসারিত ঠোঁটের জন্য আউটলাইন আঁকুন। দুই কোনায় সামান্য ফাঁক রাখবেন। যে রংয়ের লিপস্টিক দিয়েই ঠোঁট ভরাট করুন না কেন, তা ঠোঁটের মাঝের অংশে লাগান গভীর করে।এইচএন/পিআর
Advertisement