দেশে হজের মৌসুম আসলেই ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড় অভিযোগ উঠতে শুরু করে। প্রতিবারের মতো এবারও হজ ব্যবস্থাপনায় ১১ এজেন্সির ৮৮৬ জন হজযাত্রীকে ঘুষ নিয়ে কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হাব সমন্বয় পরিষদ। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানায় সংগঠনটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাব সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন মিন্টু, সদস্য সচিব রেজাউল করিম উজ্জ্বল, সদস্য মো. শামসুল হক, হাবের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কারি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, চলতি বছর হজযাত্রীর মোট কোটা রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ও বেসরকারি কোটায় রয়েছে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন। তবে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫১ জন হজ গমনেচ্ছু প্রাক-নিবন্ধিত হয়েছেন। কোটার চেয়ে অতিরিক্ত নিবন্ধিত হয়েছেন ৪৮ হাজার হজ গমনেচ্ছুক।হাব সমন্বয় পরিষদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১০ হাজার সরকারি কোটা থেকে প্রায় ৫ হাজার ২০০ এবং বেসরকারি কোটায় প্রায় ৫ হাজার অবশিষ্ট আছে। এ অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত কোটা একটি অসাধু মহল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন এজেন্সির নামে বরাদ্দ দিচ্ছে।প্রমাণ আছে জানিয়ে বলা হয়, সৌদি এয়ারলাইন্স দুটি এজেন্সিকে প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহ ট্রাভেলসকে ১০৩ জনসহ মোট ১১টি এজেন্সির মাধ্যমে ৮৮৬ হাজযাত্রীর নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে কোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর প্রমাণ ছাড়া এমন সংখ্যা আরো অনেক, যা বাতিল করে সমবণ্টনের দাবি জানায় সমন্বয় পরিষদ।রুহুল আমিন মিন্টু বলেন, এবার বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে অস্থিরতা বিরাজ করায় সৌদি আরবে মোট হজ সংখ্যার প্রায় ৭ লাখ আসন খালি আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার যদি সৌদি সরকারের নিকট হাজির কোটা বাড়ানোর আবেদন করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা করতে নারাজ। কারণ কোটা বাড়লে চাহিদা থাকবে না। আর চাহিদা না থাকলে কর্তৃপক্ষের শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। এমইউএইচ/একে/এবিএস
Advertisement