বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লন্ডন থেকে দেশে ধরে নিয়ে আসা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেন, যেহেতু লন্ডনের সাথে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই, তাই তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে আনা হবে। পাশাপাশি তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও লন্ডনের সাথে প্রচেষ্টা চালাবে সরকার।আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট মামলায় তারেক রহমানের সাত বছরের সাজার পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।আনিসুল হক বলেন, লন্ডনে বসে এ মামলায় আপিলের কোনো সুযোগ নেই। আপিল করতে চাইলে তাকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে আদালতের মাধ্যমে আপিল করার সুযোগ নিতে হবে নতুবা সরকার তাকে ধরে আনার পর সে আপিল করতে পারবে। মন্ত্রী বলেন, এতদিন এ মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় কোনো কথা বলেনি। আজ মামলার রায়ে সে দোষী প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে এক বিচারক তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেও সেই বিচারক আদালতকে প্রভাবিত করে তারেক রহমানকে খালাস করিয়েছিলেন। খালাসের রায় ঘোষণার দুই দিন পর সেই বিচারক পরিবারসহ মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। তিনি আর ফিরে আসেননি।তিনি বলেন, সেই মামলার রায়ে স্পষ্ট বলা আছে, মামুন স্বীকার করেছে একটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে কনসালট্যান্সি ফি এর নামে তারা অর্থ ঘুষ হিসেবে নিয়েছিলেন এবং সেই অর্থ বিদেশে রাখেন। সেই মামলায় তারেক রহমানকে আজ সাত বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা জরিমানার সাজা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের সাজা ঘোষণার পর পরবর্তী কাজ রায়ের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা। রায় কার্যকর করার জন্য দুদক কর্মকর্তারা দ্রুত সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।এমইউ/এআরএস/এবিএস/এমএফ
Advertisement