কপালের টিকলি থেকে হাতের বালা পর্যন্ত ৫০ ভরি সোনার গহনায় মোড়ানো। গায়ে লাল বেনারসি শাড়ি। পালকি করে বৌ এলো বরের সামনে। বৌ হলেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।বুধবার (২০ জুলাই) ছিল অপু ও মাহির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা সেনানিবাসের এক কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। মিলনায়তনের পুরো মঞ্চ জুড়ে রাজকীয় আবহ। সোনালি রঙের প্রাধান্য। আছে লালগালিচা। দু’পাশে দুটি আয়না। বসার জন্য আছে সাদা সোফা। মঞ্চর নিচে একপাশে মাহি ও তার বর অপুর ছবির স্ট্যান্ড। পাশে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের জন্য রয়েছে পর্দা। মঞ্চের সামনে বসে অতিথিরা অপেক্ষায় বর-কনের। এক পাশে চলছে কাওয়ালি। রাত পৌনে আটটার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান মাহি। গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয় ঢাকঢোলের শব্দ। বেজে ওঠে সুর। তার মুখের অভিব্যক্তিই যেন তখন বলে দিচ্ছিল, নতুন জীবনে প্রবেশের আনুষ্ঠানিকতায় দারুণ রোমাঞ্চিত তিনি। কনে মাহিয়া মাহি এসে পৌঁছালেও বর এসে তখনো উপস্থিত হয়নি। কিছুক্ষণ পর এলেন অপু। ফুলে ফুলে সাজানো গাড়ি থেকে নেমে ফটকে এসে নামেন। বকশিশ না দিয়ে পার পাবেন কীভাবে?প্রস্তুত হয়েই এসেছেন অপু। গেট আটকে থাকা কনেপক্ষকে বরপক্ষ তুলে দিলো দানবাক্স! তাতে লেখা- ‘চাঁদা চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। মুক্তহস্তে দান করিলাম।’ বাক্সের ওজন অনেক। তবে সেটা খুলতেই কনেপক্ষের চক্ষু চড়কগাছ! ভারি হলেও দানবাক্সে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ১ টাকা আর পাঁচ টাকার কয়েনে ভরে দেওয়া হয় দানবাক্স।এদিকে বর ও কনেকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন তারকা দম্পতি ওমর সানি-মৌসুমী, অনন্ত-বর্ষা, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, বাপ্পি, কাবিলা, ঈশিকা ছাড়াও আরো অনেকে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে নায়িকা মাহি ও সিলেটের কম্পিউটার প্রকৌশলী পারভেজ মাহমুদ অপু পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এনই/এআরএস/এবিএস
Advertisement