হজের উদ্দেশ্যে বাইতুল্লায় আগমনকারীরা আল্লাহ তাআলার মেহমান। তাই হজে গমনের পূর্বে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আল্লাহ প্রেমিক বান্দাদের উচিত নিজেদের তৈরি করে নেয়া। হজের পূর্বে তাদের মৌলিক কিছু করণীয় ও বর্জনীয় কাজ রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-হজে গমণের পূর্বে করণীয়ক. বৈধ অর্থের উৎস থেকেই হজ্বের সব ধরনের খরচ আঞ্জামের ব্যবস্থা করা;খ. ইহরামের পোশাক ক্রয় করা;গ. পাসপোর্ট ও অর্থ রাখার জন্য কোমরবন্দ সংগ্রহ করা;ঘ. প্রতিবেশীসহ নিকটআত্মীয়দের কাছ থেকে দায়-দাবি মুক্ত হওয়া;ঙ. অসিয়ত থাকলে লিখিত আকারে তা তৈরি করে রাখা;চ. ঋনগ্রস্ত হলে হজে গমণের পূর্বে তা পরিশোধ করা;ছ. দুনিয়াবী সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া;জ. বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করে আত্মা বা দিলকে আল্লাহর প্রেমের উপযোগী করে তোলাঝ. হজ ও ওমরার রুকন তথা ইহরাম, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সাঈ’র দোয়া ও নিয়ম-কানুন শিখে নেয়া;ঞ. গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ও আমল এখন থেকেই শিখতে থাকা;ট. হজের তলবিয়া সহিহ শুদ্ধ করে মুখস্ত করে নেয়া।সর্বোপরি হজে গমনের প্রস্তুতির অর্থ হলো পরকালীন জীবনের গমনের প্রস্তুতি। কারণ বাইতুল্লায় হজের উদ্দেশ্যে রওয়ানাই হতে পারে একজন আল্লাহ প্রেমিকের জীবনের শেষ যাত্রার প্রস্তুতি।হজের পূর্বেই যা বর্জন করা জরুরি-ক. সব ধরনের মোহ, লোভ-লালসা, তথা জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করা;খ. সব ধরনের পাপ কাজ হতে নিজেকে বিরত রাখা;গ. হজে গমনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমকে জীবনের শেষ প্রস্তুতি মনে করে দুনিয়ার ভালোবাসা ত্যাগ করা;ঘ. আভিজাত্য, পদমর্যাদা, বংশ-গৌরব, গর্ব ও অহংকার ত্যাগ করা;ঙ. তাড়াহুড়া, পেরেশানি ও উদাসিনভাব ত্যাগ করা;চ. দুনিয়াবী সব ধরনের অন্যায় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকাসর্বোপরি এ বর্জনের অভ্যাস যাতে মানুষকে বিচার-দিবস ও কিয়ামত তথা পুনরুত্থানের মহড়া তথা হাশরের ময়দানের অবস্থা মনে জাগ্রত করে দেয়। এর মাধ্যমে পরকালের মুক্তির ব্যবস্থা হয়।পরিশেষে..হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও হজরত ইসমাইল আলাহিস সালামের স্মৃতি বিজড়িত হজের কার্যক্রম এবং আত্ম বিসর্জনের যে শিক্ষা ইসলাম দিয়েছে, ইসলামের এ সকল বিধি-বিধান পালনে জন্য আমাদেরকেও আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুতি নেয়া জরুরি।সুতরাং হজে গমনের নিয়্যতকারী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজের এ সকল প্রস্তুতি নেয়া একান্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হজ্বের প্রাক-প্রস্তুতি নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিনএমএমএস/আরআইপি
Advertisement