নবজাতক চুরির ঘটনার পর এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা এবং রোগী সেবার মান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।জানা গেছে, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুব শিগগিরই হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ৮টি স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থাপনকারী কোম্পানিও ঠিক করা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।বর্তমানে হাসপাতালে ৪৮ জন কর্মী নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ সংখ্যা আরও ২৫ জন বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে ১০ জন পুলিশ, ২৫ জন আনসারসহ হাসপাতালের ১৩ জন প্রহরী সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে, যা পুরো হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আরো ১৫ জন আনসার ও ১০ জন নিরাপত্তা প্রহরী অতিশিগগিরই নিয়োগ দেয়া হবে।সম্প্রতি শিশু চুরির ঘটনার অব্যহতি পর হাসপাতালের গাইনি ও শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে জরুরি সভার কতিপয় সুপারিশ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয় এবং তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ‘বেবি আইডেন্টিফিকেশন কার্ড’ এবং ‘বেবি ট্রান্সফার কার্ড’ প্রবর্তন করা হবে। এর ফলে শিশু চুরি কিংবা পরিবর্তনের মত গর্হিত ও অমানবিক কাজ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।এছাড়া হাসপাতালের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য হাসপাতালের আয়া, সুইপার ও ওয়ার্ড বয়দের দায়িত্ব পালনকালে সরকারি পোশাক পরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিচালককে বলা হয়েছে। একই সাথে ওই কর্মচারীদের পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।ইতোমধ্যেই হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা যেমন- অপারেশন থিয়েটার, শিশু ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড, প্রধান গেট, আইটডোর, জরুরি বিভাগ ও প্রধান স্টোর গেটে নিরাপত্তা পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সহায়তায় হাসপাতাল চত্বরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দালাল, প্রতারক ও চোর ধরার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Advertisement