খেলাধুলা

পাঁচদিনের পরিবর্তে চারদিনের টেস্ট চায় নিউজিল্যান্ড

টি-টোয়েন্টির যুগে টেস্ট ক্রিকেট হুমকির মুখে- এমন কথা হর-হামেশাই শোনা যায়। অনেক ক্রিকেট কিংবদন্তিও টি-টোয়েন্টি সয়লাবের যুগে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। কিভাবে টেস্টকে জনপ্রিয় করে তোলায় যায় এ লক্ষ্যে নতুন নতুন পদ্ধতি এবং নিয়ম উদ্ভাবন করছেন ক্রিকেট কর্মকর্তারা। এরই ধারবাহিকতায় গত বছর থেকে শুরু হয়েছে ফ্লাড লাইটের আলোয় গোলাপি বলের টেস্ট। প্রস্তাব এসেছে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেটের নতুন পদ্ধতি চালু করারও।দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেটের প্রস্তাবকে নিউজিল্যান্ড শুধু সমর্থণই জানায়নি, তারা একটি নতুন প্রস্তাবও দিয়েছে। আইসিসির কাছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাব- টেস্ট ক্রিকেটকে পাঁচদিন থেকে চারদিনে নামিয়ে আনা হোক। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ডেভিড হোয়াইট টেস্ট ক্রিকেটে এই পরিবর্তণের আওয়াজ তুলেছেন।নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধানের যুক্তি হলো, টি-টোয়েন্টির যুগে লংগার ভার্সনের ক্রিকেট এখন প্রায় অচল হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, একে টিকিয়ে রাখতে হলে নতুন করে ভাবতে হবে। নতুনভাবে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।নিউজিল্যান্ডই দুই দেশের মধ্যে প্রথম, যারা দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। গত বছর অ্যাডিলেড ওভালে গোলাপি বলে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। ডেভিড হোয়াইট এটাকে ‘ক্রিকেটের একটি মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেন।দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে যেমন তারা অগ্রনী, তেমনি দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্টের প্রস্তাবেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে কিউইরা। ডেভিড হোয়াইট তো একই সঙ্গে পাঁচ দিনের পরিবর্তে চারদিনের টেস্ট আয়োজনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। শুধু প্রস্তাব দেয়াই নয়, একে বাস্তবায়ন করার জন্যও মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। হোয়াইট বলেন, ‘সূচি তৈরী করা এবং খেলোয়াড়দের ওপর কাজের চাপ কমানোর জন্য এটাই হলো সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব।’তবে ‘চারদিনের টেস্ট’ ধারণাটি প্রথম এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলরের মাথা থেকে। তার এই ধারণাকে ইতিমধ্যে সমর্থণ জানিয়েছেন আরও কয়েকজন অসি গ্রেট। তারা হলেন শেন ওয়ার্ন, গ্রেগ চ্যাপেলের মত ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, এই ধারণাটিকে সমর্থণ জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস (ইসিবি) ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলনি গ্র্যাভস।ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে ডেভিড হোয়াইট বলেন, ‘আমাদের উচিৎ হবে এ বিষয়ে খুজ জোরালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করা। বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, যদি আপনি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেন, তাহলে তাতে অবশ্যই চার সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। এই চার সপ্তাহ সময় মানে অনেক লম্বা সময়। অথচ যদি চারদিন করে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হয়, তখন সময় লাগবে তিন সপ্তাহ। তাহলে অন্তত একটি সপ্তাহ বেঁচে গেলো!’ডেভিড হোয়াইট একই সঙ্গে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট পদ্ধতিকেও জোরালো সমর্থণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা ক্রিকেটের জন্যই বড় ধরনের একটি পদক্ষেপ। আমরা যদি প্রমোশন এবং রেলিগেশনের নিয়ম প্রবর্তণ করতে পারি, তাহলে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে এবং টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়বে।’আইএইচএস/এমএস

Advertisement