লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শেফালী বেগম (১৩)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পুলিশ নিয়ে শেফালীর বাড়ি উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। শেফালী বেগম ওই গ্রামের আব্দুল আউয়ালের মেয়ে। সে ওই এলাকার ছাবেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।আদিতমারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন আলম জানান, দিনভর নিজ বাড়িতে শেফালীর বিয়ের আয়োজন চলছে। রাতে বর সেজে বধুকে বরণ করতে আসবে একই এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের নুরল হকের ছেলে নান্নু মিয়া। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-পড়শি সকলকে খাওয়ানো শেষ। বর এলেই বিয়ে। ঠিক এমন সময় থানা পুলিশ নিয়ে বিয়ের বাড়িতে হাজির আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। পুলিশ দেখে কাজীসহ বিয়ের বাড়ির পুরুষরা পালিয়ে যায়। পরে ইউএনও শেফালীর মা-সহ বিয়ের বাড়িতে আগন্তুক মহিলাদের ডেকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করলে তাৎক্ষণিক ভাবে তারা এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে মেয়েকে বাল্যবিয়ে দিবেন না মর্মে ইউএনও জহুরুল ইসলামকে মুছলেকা দেন শেফালীর মা আছমা খাতুন। এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে না দিয়ে শেফালীকে পুনরায় লেখাপড়ার জন্য স্কুলে পাঠাবেন মর্মে মুছলেকা দিয়েছেন মেয়েটির মা।
Advertisement