ঝিনাইদহে সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস হত্যার পর ঘটনার অন্যতম এক আসামি ধরা পড়লেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্য আসামিরা বাইরে থাকায় শঙ্কা কাটছে না তাদের। পূজা-অর্চনাও হচ্ছে শঙ্কার মধ্যে দিয়ে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হলেও দ্রুত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মঠের পুরোহিত জানান, ঝিনাইদহ মূল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল বিগ্রহ মঠ। এই মঠের সেবায়েত হিসেবে দীর্ঘ ৩ বছর কর্মরত ছিলেন শ্যামানন্দ দাস। গত ১ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফুল তোলার সময় মটরসাইকেলযোগে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাকে উপুর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগড়া গ্রামে চলছে একরকম নিরবতা। কখন আবার কী ঘটনা ঘটে এই ভয়েই দিন পার করছে এ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়। তারা জানান, আসামি ধরা পড়ায় আমরা খুবই খুশি তবে আমাদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। আসামি যে দলেরই হোক আমরা দ্রুত এই ঘটনার বিচার চাই। সাধারণ জনগণ জানান, আমাদের গ্রামে আগে এ ধরনের আতঙ্ক ছিলনা। কিন্তু এখন সন্ধ্যা হলেই আর বাইরে বের হতে পারছি না। আমরা আবার আগের মতো বসবাস করতে চাই।ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুধীর কুমার সমাদ্দার জানান, যেহেতু বেশিরভাগ আসামিই এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে, আমাদের আতঙ্ক যায়নি। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। শিবিরের উপরের নির্দেশে এই কিলিং মিশন সংঘটিত হয়। এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা অর্চনা করার জন্য আলাদা পুলিশ ফোর্স দেওয়া হয়েছে। তারা রাতে ও দিনে পালা করে ডিউটি করছে। উল্লেখ্য, গত ১৬ জুরাই রাতে জেলার শেখপাড়া বাজার থেকে শাহিন নামের সেবায়েত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে সে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আহমেদ নাসিম আনসারী/এফএ/পিআর
Advertisement