মানুষকে ভালো কাজের প্রতি আহ্বান করা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া বড় একটি ইবাদাতের কাজ। দাওয়াতের এ দায়িত্বপালনের কারণে মানুষ নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের ন্যায় সাওয়াব ও পুরস্কার লাভ করে। এ পুরস্কারের ধরণ কেমন হবে হাদিসে এর সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। যা তুলে ধরা হল-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি ভাল পথে (কাজের) আহ্বান করে; তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে; তাদের সকলের পুরস্কারের সমপরিমাণ পুরস্কার সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পুরস্কারের ঘাটতি হবে না। আর যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে, তাদের সকলের পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপের কোনো ঘাটতি হবে না।` (মুসলিম)মুমিন বান্দা যদি কোনো ভালো কাজ করতে না পারে কিন্তু তার পরামর্শে এবং নির্দেশনায় কেউ ভালো কাজ সম্পন্ন করে তবে ঐ মুমিন ব্যক্তি কর্ম সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন। এ বিষয়েও বিশ্বনবি বলেছেন- ‘যদি কেউ ভালো কর্মের দিকে নির্দেশনা প্রদান করে; তবে তিনি কর্মটি পালনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবেন।` (মুসলিম)হাদিসে শিক্ষা-১. মানুষ নিজে সৎ কাজ করবে এবং অন্যকে সৎ ও ন্যায়ের পথে চলার আহ্বান করা।২. নিজে কোনো ভালো কাজ সম্পাদন করতে না পারলেও অন্যকে ভালো কাজ সম্পাদনে উৎসাহী করে তোলা।৩. নিজে অন্যায় পরিহার করা অন্যকে অন্যায় ও অসৎ পথ থেকে ফিরিয়ে রাখা।৪. ব্যক্তি নিজেকে বিভ্রান্তির পথ থেকে মুক্ত থাকা এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে অন্যায়ের দিকে ধাবিত না করা।৫. সর্বোপরি সব সময় মানুষকে ভালো কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহ দেয়া।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। হাদিস অনুযায়ী ভালো কাজ করে এবং ভালো কাজের প্রতি অন্যকে আহ্বান করে ঘোষিত সাওয়াব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement