খেলাধুলা

ইউরো সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি-রোনালদো

এক সময় ব্যালন ডি’অর তুলে দেয়া হতো ইউরোপ সেরা ফুটবলারের হাতেই। ২০১০ সাল থেকে ফিফা ব্যালন ডি’অরটা নিজেদের করে নেয়ার পর ইউরোপ বসে থাকেনি। সেরার পুরস্কার প্রবর্তণ করে তারা আরও একবার। ‘বেস্ট প্লেয়ার অব ইউরোপ’ নামে এই পুরস্কারটি চালু হয়েছে ২০১১ সাল থেকে। মেসিই একমাত্র ফুটবলার যিনি এই পুরস্কারটা পেয়েছেন দু’বার। সর্বশেষ বিজয়ীও তিনি। এছাড়া ইনিয়েস্তা, রোনালদো এবং ফ্রাঙ্ক রিবেরি জিতেছেন একবার করে।এবার কে জিতবেন ইউরোপ সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার! যেই জিতুক, ভোটাভুটিতে যে তুমুল লড়াই হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ৩০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই তালিকার মধ্য থেকে সেরা ১০ ফুটবলার বাছাই করার জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নেন উয়েফাভূক্ত ৫৫টি দেশের একজন করে সাংবাদিক। প্রতিজন ক্রমিক হিসেবে ৫জনকে বাছাই করার সুযোগ পান। এই ক্রমিকেরও মান আছে। ১ নম্বর বাছাইয়ের জন্য ৫ পয়েন্ট, দুই নম্বরের জন্য চার। এভাবে সিরিয়াল যত বাড়বে, পয়েন্টও তত কমবে। এরপরই প্রাপ্ত পয়েন্ট নিয়ে হিসেব করে তৈরী করা হলো সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকা। যেখানে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে মেসি-রোনালদোর নাম। সঙ্গে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, গ্যারেথ বেল, আন্তোনিও গ্রিজম্যানের মত ফুটবলারের নামও। অবাক বিষয় হলো এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে নেইমার।আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে আবার এই ১০ জনের মধ্য থেকে বাছাই করা হবে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর আরও এক দফা ভোটাভুটি করে নির্ধারণ করা হবে বিজয়ীর নাম এবং ২৫ আগস্ট মোনাকোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হবে বিজয়ী ফুটবলারের নাম।৩০ জনের তালিকা থেকে বাছাই করে যে দশজনের তালিকা করা হয়েছে তারা হলেন১. গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ এবং ওয়েলস)২. জিয়ানলুইজি বাফন (জুভেন্তাস এবং ইতালি)৩. আন্তোনিও গ্রিজম্যান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও ফ্রান্স)৪. টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ এবং জার্মানি)৫. লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনা)৬. থমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ এবং জার্মানি)৭. ম্যানুয়েল ন্যুয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ এবং জার্মানি)৮. পেপে (রিয়াল মাদ্রিদ, পর্তুগাল)৯. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ, পর্তুগাল) এবং১০. লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা, উরুগুয়ে)।আইএইচএস/এবিএস

Advertisement